বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের বাড়িতে জার্মানির ক্লায়েন্ট

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৪:০২ অপরাহ্ণ

কখনো হাঁটছেন গ্রামের মেঠো পথ ধরে, কখনো নৌকায় চড়ে ভাসছেন চিত্রা নদীতে। আবার কখনো বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে জানতে ছুটছেন ঐতিহ্যবাহী স্থানে, কখনো চায়ের আড্ডায় খোশগল্পে মাতছেন বাঙালির সঙ্গে। যেন ভিনদেশি নয়, তিনি আমাদের কেউ।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নড়াইলের ফ্রিল্যান্সার জুয়েল আহম্মেদের বাড়িতে আসেন জার্মান নাগরিক মি. মার্টিন। তিনি জুয়েল আহম্মেদের ক্লায়েন্ট। জার্মানের একটি সফটওয়্যার ফার্মের প্রজেক্ট ম্যানেজার মি. মার্টিন।

প্রায় ৫ বছর আগে কাজের সুবাদে ফ্রিল্যান্সার জুয়েলের সঙ্গে একটি মার্কেটপ্লেসে পরিচয় হয় মার্টিনের। ধীরে ধীরে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। বিনিময় হয় দুই দেশের মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন তথ্যের। একপর্যায়ে ভালোলাগা থেকে জীবনে প্রথমবারের মত এশিয়ার কোনো দেশ হিসেবে বাংলাদেশে আসেন মার্টিন। বাংলার রুপ আর বাঙালির আতিথেয়তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ এই ভিনদেশি ফের সুযোগ পেলেই আসতে চান সবুজ-শ্যামল এই বাংলায়।

বাংলাদেশে আসার কারণ হিসেবে মার্টিন বলেন, তিনি এসেছেন তার বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে, পুরো বাংলাদেশকে ঘুরে দেখতে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে। গত ৬-৭ দিন বাংলাদেশে ঘুরে তার মনে হয়েছে, এদেশের মানুষ খুবই সুন্দর। এদেশের মানুষের আতিথেয়তা অসাধারণ। এমনটা আমি কখনও দেখিনি। প্রত্যেকে আমাকে দাওয়াত দিচ্ছে, খাবার দিচ্ছে, আমি যা চাচ্ছি। মার্টিন আরও বলেন, এদেশের সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা আমার ভালো লেগেছে তা হচ্ছে প্রকৃতি। আমি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই উপভোগ করছি।

এদিকে, মার্টিনকে কাছে পেয়ে আনন্দের শেষ নেই জুয়েলের পরিবারের। দেশীয় খাবারের সমাহারে ভিনদেশি অতিথিকে অ্যাপায়ন করতে ব্যস্ত পরিবারের সদস্যরা। আর বিভিন্ন স্থানে মার্কিন ক্লায়েন্টকে নিয়ে ঘুরতে ব্যস্ত জুয়েল।

জুয়েল বলেন, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনেক ক্লায়ন্টের সঙ্গে কাজ করা হয়। সম্পর্ক তো সবার সঙ্গে ভালো হয় না। ওনার (মার্টিন) সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালো। একপর্যায়ে আমি তাকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানাই। তিনি রাজি হন। তবে তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আসতে দিতে চাচ্ছিলো না। পরে তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হই। এটা ওনার এশিয়ার প্রথম ভিজিট। তিনি এসে মুগ্ধ, আমরাও পরিবারের সবাই খুশি।

জুয়েলের বাবা মনিরুজ্জামান বলেন, আমার ছেলের আমন্ত্রণে মার্টিন এসেছেন আমাদের বাড়িতে। এখানে আসতে পেরে উনি খুবই আনন্দিত, আমরাও আনন্দিত।

মার্টিনকে দেখতে আসা নাসিম শিকদার রাজ বলেন, মার্টিন আমাদের দেশে এসে খুবই খুশি এবং সেভ বোধ করছন। এটা নিয়ে আমরা গর্বিত। ফ্রিল্যান্সারা এভাবে বাংলাদেশের জন্য সুখবর বয়ে আনুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...