সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ‘ভালোবাসা দিবস’। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ভালোবাসার এই দিবস পালিত হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকে। বাংলাদেশে ৩২ বছর আগে এই ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসের সূচনা হয়। ফাল্গুনের প্রথম দিনে বসন্তের দোলা লেগেছে নানা বয়সী মানুষের হৃদয়েও।
পৃথিবীর আদিমতম সম্পর্কের নাম ভালোবাসা। ভালোবাসা নিয়ে পৃথিবীতে যত গান, গল্প, কবিতা, উপন্যাস রচিত হয়েছে, আর কোনো বিষয় নিয়ে তা হয়নি। ভালোবাসার জন্য কেউ সাম্রাজ্য ত্যাগ করেছে আবার কেউ কেউ জীবনও দিয়েছে। ভালোবাসার প্রত্যয়কে চিরঞ্জীব করে রাখতে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’।
ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। এক খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম `ভ্যালেনটাইনস ডে` করা হয়।
২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন `ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন`। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন। যুদ্ধে আহত মানুষকে সেবার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার রীতি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
ভ্যালেনটাইনস ডে সর্বজনীন হয়ে ওঠে আরও পরে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাওয়ার পেছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মৃত্যুর আগে প্রতি বছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করত `জুনো` উৎসব। রোমান পুরানের বিয়ে ও সন্তানের দেবী জুনোর নামানুসারে এর নামকরণ।
এ দিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তার নাচের সঙ্গীকে বেছে নিত। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমানরা যখন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হয় তখন `জুনো` উৎসব আর সেন্ট ভ্যালেনটাইনের আত্মত্যাগের দিনটিকে একই সূত্রে গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি `ভ্যালেনটাইনস ডে` হিসেবে উদযাপন শুরু হয়। কালক্রমে এটি সমগ্র ইউরোপ এবং ইউরোপ থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03