ধানক্ষেতে সানজিদার দেহ পুঁতে রাখে সৎবাবা শরিফুল

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ওলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি সানজিদা খাতুন নামের এক শিশুর। তার বয়স ৯ বছর। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সানজিদা নিখোঁজ ছিল। সানজিদা উল্লাপাড়া উপজেলার আমসড়া গ্রামের মো. শাহিনের মেয়ে।

এ ঘটনায় দুজনকে শিশুটির সৎবাবা শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা সানজিদাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তারা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশু সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিখোঁজের পর ১১ ফেব্রুয়ারি সানজিদার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই সূত্র ধরেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শরিফুল ইসলামের সঙ্গে সানজিদার মা জরিনা খাতুনের বিয়ে হয়। এটি জরিনার দ্বিতীয় এবং শরিফুলের চতুর্থ বিয়ে। সম্প্রতি পারিবারিক দ্বন্দ্বে বাবার বাড়িতে চলে যান জরিনা। তাকে ফিরিয়ে আনতে বার বার চেষ্টা করেন। না ফেরায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হলে তিনি শরিফুলকে বলেন, ‘সানজিদাকে অপহরণ করে তাঁর হাতে তুলে দিলেই শরিফুল তাঁর স্ত্রীকে ফেরত পাবেন।’

এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করেন শরিফুল। এ সময় সানজিদা চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য ধানক্ষেতে পুঁতে রাখেন শরিফুল।

ওসি এনামুল হক বলেন, মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার কারণে শরীরে পচন ধরেছে। শরীরের কোনো অংশে আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় আটক শরিফুল ও হাসমতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

[১] [২] [৩]