বাঁচানো গেল না সাবেক স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ লতাকে

সাবেক স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

লতার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার চাচা ফারুক মিয়া। নিহত লতা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের মৃত মফিজুর রহমানের মেয়ে। তিনি ঢাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতেন।

গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তালাক দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই নারী চিকিৎসকসহ নিজ শরীরের পেট্রল ঢেলে আগুন দেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে গাড়িচালক তার সাবেক স্বামী খলিলুর রহমান (৪০)। একই দিন তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। পরে রাতে মারা যান খলিল।

৮০% পুড়া শরীর নিয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয় ডা. লতাকে। সেখানে ভর্তির তিনদিন পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় মারা যান তিনি।

ডা. লতার চাচা ফারুক মিয়া জানান, হাসপাতালের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ডা. লতা আক্তার দুই বছর আগে গাজীপুরে কাপাসিয়া উপজেলার যুবক খলিলুর রহমানকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে নিজেকে কানাডা প্রবাসী পরিচয় দেন খলিল। বিয়ের পর লতা জানতে পারেন তার স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়িচালক। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তিন মাস আগে খলিলকে তিনি তালাক দেন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত রবিবার দুপুরে লতার বাড়িতে আসেন খলিল। পরে ঘরে ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করে লতাসহ নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেন। এতে তারা দুজন দগ্ধ হন। ভেতর থেকে লতার চিৎকার শুনে তার স্বজন ও প্রতিবেশীর দরজা ভেঙে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর সরকার জানান, শুনেছি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. লতা মারা গেছেন। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

[১] [২] [৩]