লন্ডনে ট্রিও আর্টসের ট্রিও প্রোগ্রাম

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৪, ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

লন্ডনের Trioarts Cultural Organisation ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বিকাল ৩টায় মহান শহীদ দিবস, International Mother Language Day এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এর প্রথম পর্বে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় ও মূল পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ছিল বিশিষ্ট শিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক ডক্টর শ্যামল চৌধুরীর একক সঙ্গীত পরিবেশনাসহ আবৃত্তি, নৃত্য ও সমবেত কন্ঠে গণসঙ্গীত ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জনাব হযরত আলী খান। শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথি প্রবাসে এ ধরণের মহতী আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতি এবং বাংলা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরিতে এবং শেকড়ের সন্ধানে আগামী দিনের বাঙালি শিশুদের অনুষ্ঠানে সরাসরি সম্পৃক্ত করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিক বলে অভিহিত করেন। তিনি এ ধরণের আয়োজনে সংশ্লিষ্ট ও সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানান। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক শিল্পী তপন রায় এ ধরণের আয়োজন শিশুদের মননশীলতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন।

মূল পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনাতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে আত্মবলীদানকারী ভাষা শহীদসহ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও বীরাঙ্গনাগণের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বের গোড়াপত্তন ঘটে অমর একুশের কালজয়ী গান আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত ও শহীদ আলতাফ মাহমুদ সুরারোপিত “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” গানটি দিয়ে। তারপর ডক্টর শ্যামল চৌধুরী মাসুদ করিমের কথা আর বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ এবং মুক্তিযুদ্ধের শব্দ-সৈনিক অজিত রায়ের সুরে অমর একুশের আরেকটি বিশেষ গান “আজকের গান একুশের গান” গানটি গাওয়ার পর কিশোর ইহান প্রধান অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী তপন রায়কেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় ইহান শাহীদ। অমর একুশের কালজয়ী গানটির বেশকিছু অংশ আবৃত্তি করেন রুবাইয়াত শারমিন ঝরা।

অনুষ্ঠানে চিরন্তন বাংলার চিরায়ত কবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, দ্রোহের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, সব্যসাচী কবি দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের বেশ কিছু বিশেষ কবিতা ও গান পরিবেশিত হয় ডক্টর শ্যামল চৌধুরীর একক ও সমবেত কন্ঠের সমন্বয়ে। কবি জীবনানন্দের কবিতা এবং শব্দ সৈনিক ও সঙ্গীতজ্ঞ অজিত রায়ের সুরে বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি গানের সাথে সাথে কবিতাটি আবৃত্তি করেন রুবাইয়াত শারমিন ঝরা এবং সাদেক আহমেদ চৌধুরী। এ গানটি মঞ্চে উপবিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও আবৃত্তি শিল্পীগণ নিজ নিজ কণ্ঠের প্রয়োজনীয় ও যথাযথ প্রয়োগ অর্থাৎ কখনো উদাত্ত কন্ঠে, কখনো নিয়ন্ত্রিত বা মৃদু কন্ঠে পরিবেশন করার মাধ্যমে মিলনায়তনে এক বৈচিত্র ও মোহময় আবহের অবতারণা করেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি’ গানটি এবং স্বীয় কণ্ঠে ধারনকৃত কবিতার সাথে চমৎকারভাবে নৃত্য পরিবেশন করেন Trioarts-এর কর্ণধার রুবাইয়াত শারমীন ঝরা। প্রয়াত অজিত রায়ের সুরে কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ধূমকেতুর গানরূপ পরিবেশন করেন ডক্টর শ্যামল চৌধুরী। গানের মাঝে মাঝে ধূমকেতু কবিতাখানি বলিষ্ঠ কণ্ঠে আবৃত্তি করেন সাদেক আহমেদ চৌধুরী। সুনীতা চৌধুরী কবি সুকান্তের বিখ্যাত কবিতা “ হিমালয় থেকে সুন্দরবন” অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে আবৃত্তি করেন। একই সঙ্গে যুগলভাবে গানের মাধ্যমে এটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন ডক্টর চৌধুরী। সুকান্তের এ বাণীগুলোকে সুরে আবদ্ধ করেছিলেন বাংলা গনসঙ্গীতের পথিকৃতদের অন্যতম একজন বিশিষ্ট সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ লুৎফর রহমান। অপর একটি নৃত্যে ছিলেন এশা দাশ।

একক সঙ্গীত পরিবেশনায় ডক্টর শ্যামল চৌধুরী পরপর বেশ কয়েকটি রবীন্দ্র সঙ্গীত উপস্থাপন করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ও অনলাইনে সংযুক্ত দর্শকদের বিমোহিত করেন। পরবর্তীতে নিজের লেখা ও সুরে এবং তারই প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বেশকিছু অডিও মিউজিক এলবাম থেকে পরপর কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর বিশ্বকাঁপানো ভাষণকেন্দ্রিক রচিত গান পরিবেশনের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মঞ্চে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও উদীচি ইউ কের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। একান্ত সঙ্গীতানুরাগী ও শিক্ষক মোস্তফা কামাল মিলন গনসঙ্গীতে ঐকান্তিকতা, পারঙ্গমতা ও সার্থকতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বর্তমানে গুটি কয়েকজনের একজন হিসেবে শ্যামল চৌধুরীকে গন্য করা যায় বলে মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পী ডক্টর শ্যামল চৌধুরী বলেন যে, তিনি মূলতঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়েই পরিচিতি পেতে থাকেন। কিন্তু সময় ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রয়োজনে সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে আশির দশকে সামরিক স্বৈরাচার ও সে সময়ের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে সেগুলোকে রোখার নিমিত্তে প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিকে গানের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং দেশের আনাচেকানাচে গণজাগরণ সৃষ্টির একান্ত উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ডাকসুর তৎকালীন সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর বর্তমান মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর নেতৃত্বে গণসঙ্গীতকে আরও বেগবান করার যাত্রা শুরু হয়েছিল। তখন লাকী ভাইয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে গঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গীত শাখার সদস্য ও পরে মূল প্রশিক্ষক হিসাবে আশির দশকে রাজনীতির প্রয়োজনে গঠিত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জাতীয় কবিতা উদযাপন পরিষদ এর সকল অনুষ্ঠানে গণসঙ্গীত পরিবেশন করতে গিয়ে এবং এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ভিত্তিতে রচিত গানে সুর করার মাধ্য দিয়ে গণসঙ্গীতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হয়ে এটাকে আঁকড়ে ধরেন থাকেন। সে সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল সকল ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনমুখী অনুষ্ঠানগুলোতে নিরলসভাবে নিয়মিত গণসঙ্গীত পরিবেশন করতে হয়েছে তাকে।

নিজের লেখা ও সুরারোপিত গানের অডিও মিউজিক অ্যালবাম সমূহের বিষয়ে আর এক প্রশ্নের উত্তরে সুরকার, গীতিকার এবং সংগীত পরিচালক ডক্টর শ্যামল চৌধুরী জানান যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম, সংগ্রাম ও আদর্শ নিয়ে ২০১১ সালে “ধ্রুব তারা তুমি দেখাও নিশানা” নামে ১১টি গানের একটি অডিও মিউজিক এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এতে কিংবদন্তী শিল্পী প্রয়াত সুবীর নন্দী, প্রখ্যাত শিল্পী মোঃ রফিকুল আলম, শাম্মী আখতার (প্রয়াত) , সাদী মহম্মদসহ অন্যান্য প্রথিতযশা শিল্পীগণ কন্ঠ দিয়েছেন। এ অ্যালবামে সাদী মহম্মদের গাওয়া একটি গান ” পৌষ সংক্রান্তির দিনে” বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ২০২১ সালে ভারতে অহমিয়া ভাষাতে অনুবাদ করে এর ধারণকৃত নৃত্য ও মিউজিক ভিডিও দূরদর্শন আগরতলায় প্রচারিত হয়েছে।

তিনি উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের আরও অবগত করেন যে, তার প্রথম অডিও মিউজিক অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০০০ সালের ২১ তারিখে, UNESCO কর্তৃক মহান অমর একুশেকে International Mother Language Day হিসেবে ঘোষণার প্রথম বর্ষ উদযাপনকালে। প্রত্যয় নিবেদিত “হে প্রিয় বাংলাদেশ” শীর্ষক এ এলবামের ১২টি গানের গীতিকার অনুজপ্রতিম মোস্তফা আনোয়ার স্বপন এবং সবকটি গানের সুর করেন শিল্পী ডক্টর শ্যামল চৌধুরী। এর সবকটি গান উনিশশো আশির দশকে সামরিক শাসন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে তরান্বিত, বেগবান ও দুর্দমনীয় করার নিমিত্তে সৃজিত। এসব জ্বালাময়ী গনসঙ্গীত প্রেরণার পরম উৎস হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সর্বত্র নৃত্যের সাথে একক ও সমবেত কন্ঠে গাওয়া হয়েছে। এ যাবত প্রকাশিত তার ১২টি অডিও মিউজিক এলবামের সবগুলিই ঢাকার সাংস্কৃতিক সংগঠন “প্রত্যয়” নিবেদিত।

তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন যে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে “চির ভাস্বর মুজিব” শীর্ষক সর্বশেষ বিশেষ স্মারক অ্যালবাম তৈরীর কাজটি আরম্ভ করেন ২০২০ সালের ১৭ মার্চে। এ সময় ডক্টর শ্যামল চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের Audit and Accounts Department এর সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে কর্মরত ছিলেন। এ অ্যালবামের ১২টি গানে কন্ঠ দিয়েছেন ভারতের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী হৈমন্তী শুক্লাসহ কোলকাতার প্রখ্যাত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র এবং রূপঙ্কর বাগচী। বাংলাদেশের বিশিষ্ট যে সব শিল্পী কন্ঠ দিয়েছেন তারা হচ্ছেন এ অ্যালবামের প্রধান উপদেষ্টা ও মুক্তিযুদ্ধের শব্দ সৈনিক মোঃ রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, তপন চৌধুরী, সাজেদ আকবর, প্রদীপ সরকার ও স্বয়ং শ্যামল চৌধুরী। লন্ডন থেকে কন্ঠ দিয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী লুসি রহমান ও গৌরী চৌধুরী এবং মোস্তফা কামাল মিলন।
২০২৩-এর ৩রা জুলাই “চির ভাস্বর মুজিব” অ্যালবামের মোড়ক লন্ডনে উন্মোচিত হয় এতে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম প্রধান অতিথি এবং ভারতের মান্যবর হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী গেস্ট অব অনার হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, এ বিশেষ স্মারক অডিও মিউজিক অ্যালবামে সন্নিবেশিত জাতির পিতার জীবন, কর্ম, আদর্শ ও সংগ্রামভিত্তিক ঐতিহাসিক বহু তথ্য এবং প্রায় পঞ্চাশটির মত দুর্লভ ছবি নেওয়া হয়েছে তারই চাকুরী জীবনের শেষ দিকে প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগে Controller General Defence Finance (CGDF) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় একই কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে স্বীয় পরিকল্পনায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার এর থিম থেকে। এ কর্ণারটি তিনি ২০২০ সালের ১৬ই নভেম্বরে উদ্বোধন করেন, যার সংবাদ ছবিসহ পরের দিন দৈনিক যুগান্তরে এবং ১৬ই নভেম্বরে দৈনিক কালের কণ্ঠের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়। তবে, গত বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে CGDF এর চলতি দায়িত্ব পালনকারী জনাব গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া এর স্ব-উদ্যোগে ডক্টর শ্যামল চৌধুরীর নামফলকের স্থলে তারই উদ্বোধন করা বঙ্গবন্ধু কর্ণারটি বাংলাদেশের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে দিয়ে পুনঃউদ্বোধন করানো হয়। ডক্টর শ্যামল চৌধুরী উপস্থিত দর্শকদের খুব আক্ষেপের সঙ্গে বলেন যে, তার মতে বিষয়টি প্রতারণার শামিল এবং তা গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়ার হীনমন্যতারই পরিচায়ক। এতে তিনি ভীষণ মর্মাহত হন বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বেশ উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান সমবেত কন্ঠে পরিবেশন করেন শিল্পী সুনীতা চৌধুরী, মিতালী বনোয়ারী, রুমী হক ও ডক্টর শ্যামল চৌধুরী। প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময় এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মেহবুবা সুলতানা লিথি ও রুবাইয়াত শারমিন ঝরা। শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন শামসুল জাকী স্বপন ও মীর রীয়াদ। তবলায় সঙ্গত করেছেন পিয়াস বড়ুয়া। ভিডিও রেকর্ডিং ও লাইভ streaming ছিলেন AR TV Network-এর জয়দেব রায় এবং Live streaming এর স্পন্সরদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্র বর্মন ও সুমী দাসগুপ্তা।
মিলনায়তনসহ বিভিন্ন ধরণের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন মাসুদ জামান, শায়লা শারমীন, ফারহানা আখতার, মাসুদ জামান, মেসবাহ শহীদ, দিগ্বিজয় শুভ, শাহনুর হোসেন, আয়হাম শহীদ, আরিফ মুহাম্মদ ইফতেখার চৌধুরী, সন্দীপন চৌধুরী, স্নেহাসন চৌধুরী, বাতিরুল হক সরদার ও মোস্তফা কামাল মিলন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...