বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া সেই ভবন নিয়ে যা জানাল আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ১ মার্চ (শুক্রবার) রাতে রমনা থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ওই মামলা করেন।

ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফার্সি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনায় আদালতে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে রিমান্ডে আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে আসামি করা হয়েছে, ভবনটিতে থাকা ফাস্টফুড দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কজিকটেজের স্বত্বাধিকারী বলে উল্লেখ করা আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ (৩৪) এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০)। তবে ভবনটির মালিক বা স্বত্বাধিকারী আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান গাজী আহমেদ উল্লাহ্ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গ্রিন কজিকটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয়। ভবনটি শুধু জয়েন্ট ভেনচারে নির্মাণ কাজটি (ডেভেলপার হিসেবে) সম্পন্ন করেছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। ভবনের জমির মালিক ছিলেন হামিদা খাতুন নামে একজন নারী। ডেভেলপার হিসেবে ২০১৫ সালে এ ভবন নির্মাণের পর তথা ৯ বছর আগে সম্পূর্ণভাবে তা মালিক বা স্পেস ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। বর্তমানে ‘গ্রিন কজিকটেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে ওই ভবনের আলাদা মালিক সমিতি আছে। এই মালিক সমিতি ভবনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ফলে ভুল তথ্য জেনে কোনোভাবে মামলায় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের নাম জড়ানো হয়েছে।

গাজী আহমেদ উল্লাহ্ আরও জানান, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মামলা যেহেতু হয়েছে, তাই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পর আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সঠিক ও ন্যায়বিচার পাবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনায় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি প্রতিষ্ঠানটি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে আগুন লাগার পর তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। নিচতলায় লাগা আগুন উঠে যায় ওপরের সাত তলা পর্যন্ত। অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...