সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
এবার নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্যারোট ফিভার ভাইরাস। ইতোমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ইউরোপের কিছু ব্যক্তি। এমনটাই বলচে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্যারোট ফিভার কী?
চিকিৎসকের মতে, এই রোগের জন্য দায়ী চ্যালামডিয়া সিতাচি নামক একটি ব্যাকটেরিয়া। বিরল এই রোগের মূল ধারকবাহক হলো পাখি। পাখির পালক, পালকের গুঁড়ো, মল-মূত্র-লালা ইত্যাদির মাধ্যমেই এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যারা পাখির সঙ্গে মেলামেশা করেন তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।
প্যারোট ফিভারের লক্ষণ
এই রোগের মূল লক্ষণ জ্বর। পাশাপাশি গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা, কাশি, ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে, সেক্ষেত্রে পিছু নিতে পারে নিউমোনিয়ার মতো প্রাণঘাতী সমস্যা।
পাখিরও হতে পারে এ রোগ
শুধু মানুষকে নয়, পাখিদেরও এই রোগ আক্রমণ করে। এক্ষেত্রে পাখির শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়-
১. পাখিটি দুর্বল হয়ে পড়বে
২. খেতে চাইবে না
৩. পাখির চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়বে
আপনার পোষ্য পাখির মধ্যে যদি এসব লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই তার সামনে যাওয়ার সময় মাস্ক পরুন। এমনকি তার কাছ থেকে সরে আসার পর দ্রুত সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। এতে রোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন।
রোগ নির্ণয় কীভাবে?
চিকিৎসকদের মতে, এই রোগের লক্ষণ অন্য সব সাধারণ অসুখের উপসর্গের সঙ্গে এতটাই মিল খায় যে, প্রথমে প্যারোট ফিভারের কথা মাথাতেই আসে না। তবে রোগী যদি বলেন তার বাড়িতে পাখি রয়েছে কিংবা তিনি পাখির ব্যবসা করেন, তাহলে তাকে রক্তের সেরোলজি টেস্ট দেওয়া হয়। এই টেস্টের রিপোর্টের মাধ্যমে রোগ সম্পর্কে একটা ধারণা করে ফেলা সম্ভব।
খেতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক এই ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখের মূল চিকিৎসা হলো অ্যান্টিবায়োটিক। তাই সঠিক সময়ে যদি রোগ চিহ্নিত করে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শুরু করা যায়, তাহলে অনায়াসে রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। এই রোগ নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। সুস্থ থাকতে পাখির সামনে যাওয়ার সময় সাবধানে থাকুন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03