‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরে এক ধাপ এগোল মোদী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪, ৪:০৩ অপরাহ্ণ

লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই উত্তপ্ত ছড়াতে শুরু করছে ভারতের রাজনীতির মাঠ। চলছে জোট আর পাল্টা জোট গঠনের প্রতিযোগিতা। রাজনীতিকরাও ব্যস্ত কথার লড়াইয়ে। এর মধ্যেই ‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) নীতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগোল ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদী সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বর্তমান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে এই নীতি কার্যকরে ১৮ হাজার ৬২৬ পাতার একটি নথি জমা দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন দলটি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চলতি সপ্তাহেই ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হতে পারে। তার আগেই এই পদক্ষেপ ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমসহ বিরোধী দলগুলো শুরু থেকেই এই নীতির সমালোচনা করে আসছে। এই নীতি নিয়ে মোদী সরকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো নিয়ম চালু করতে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

বিশ্লেষকরা আরও বলছে, এই নীতি অনুযায়ী যদি লোকসভা ভোট হয়, তাহলে বিরোধী দলগুলোর পক্ষে আসন সমঝোতা করা সহজ হবে। কিন্তু একই সঙ্গে বিধানসভা ভোট হলে কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগী আঞ্চলিক দলগুলোর বিরোধ চলতেই থাকবে।

এদিকে বিরোধী দলগুলো মনে করছে, ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে লোকসভার ‘ঢেউয়ে’ বিধানসভা ভেসে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে টুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপির এমন প্রচারের মুখে তা ভেঙে পড়বে। পরবর্তীতে এই নীতি অনুযায়ী রাজ্যের নির্বাচন কমিশনগুলোকে কার্যত ক্ষমতাহীন করে পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে রাজ্যসভায় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানিয়েছিলেন, ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করার জন্য আইন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে কেন্দ্র। ফলে যে বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে, তা দলের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় হতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার পরেই মোদী ‘এক দেশ এক ভোট’ তত্ত্বের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ইস্তাহারেও এর উল্লেখ ছিল। শেষমেষ গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের নেতৃত্বে এই কমিটি গড়েছিল মোদী সরকার। সূত্র : খবর আনন্দবাজার অনলাইন

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...