ক্ষমা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৪, ৫:২১ অপরাহ্ণ

খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ উল্লেখ করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে তা সংশোধন করে ‘সাধারণ মানের খেজুর’ লিখে নতুন করে চিঠি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এমন ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।

এর আগে, গত ১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত এই চিঠির বিবরণে বলা হয়, প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরে ‘নিম্নমানের খেজুর’ প্রসঙ্গতটি নিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে অভিযোগ করেন, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে ‘অতিসাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর’ এর পরিবর্তে ‘সাধারণ মানের খেজুর’ উল্লেখ করে নতুন চিঠি সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন।

এর পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দিতে। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করতে। যেহেতু তারা গড়িমসি করছিল, আমরা চাইছিলাম পয়লা রমজান থেকে। তাই তাড়াহুড়ায় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সে জন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার যে চেষ্টা এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেক সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা এ কাজটা কনটিনিউ করতে চাই।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এর মধ্যে আমাদের ছোটখাটো ভুলত্রুটি হয়, সেটাকে হাইলাইট না করে আমি সব সময় বলি অ্যাফোর্টগুলো যেন একটু হাইলাইট করা হয়। যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাকে বলা হয়, তাহলে চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে, আমাদের ছোট একটা, ছোট না, আমি বলব যে বড়ই ভুল। আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি। আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর—এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামানসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...