একাত্তরের নয় মাস (পর্ব-২)

মতিয়ার চৌধুরী,

  • প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪, ৫:৫১ অপরাহ্ণ

‘অপারেশন সার্চলাইট’ পঁচিশে মার্চ ১৯৭১

২৫মার্চ ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক নৃশংস, ভয়ংকর ও বিভীষিকাময় কালরাত। একাত্তরের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পৈশাচিক হিংস্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালি জাতির ওপর। এ অভিশপ্তরাতে পাক বাহিনীর ট্যাংক, কামান আর মেশিনগানের গোলায় প্রাণ হারিয়েছেন শত শত দেশপ্রেমিক তরুণ, যুবক, আবালবৃদ্ধবনিতা।

রক্তেরঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ, বাংলার সবুজ-শ্যামল প্রান্তর। নরঘাতক পাক বাহিনীর পৈশাচিক উল্লাস, লুণ্ঠন, হত্যা ও নির্মম হিংস্র থাবায় ধ্বংস হয়েছিল বাড়িঘর, সম্পদ ও জনপদ। নারকীয় জিঘাংসায় তারা দেশব্যাপী পুড়িয়ে ছারখার করে দেয় বসত বাড়িসহ হাজার হাজার স্থাপনা।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জলাদ ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে রাত ১টায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পিলখানার ইপিআর সদর দফতর, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাস ও নগরীর বিভিন্ন এলাকার স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর ঘুমন্ত মানুষের ওপর। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি চলতে থাকে লুটপাট, নারী নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ। একই সঙ্গে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় অন্যান্য বড় বড় শহরেও। এমন কলংকজনক নজির বিশ্বের ইতিহাসে দ্বিতীয়টি আর নেই।

‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বিশ্বমানবতার ইতিহাসের এমন জঘন্যতম হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সমগ্র মানবজাতির কাছে ধিক্কৃত হয়। ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে স্থান হয় অসভ্য পাকিস্তানীদের। স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত গোটা বাঙালিজাতি এ মানবতাবিরোধী হামলায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়েও ঘুমভাঙা চোখে মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে সমগ্র দেশব্য শুরু হয়ে যায় সশস্ত্র সংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর সেই সাতই মার্চের ঐতিহাসিক আহ্বান ‘আমি যদি হুকুম দিবার না-ও পারি’, ‘‘যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’’ এই মন্ত্র বুকে ধারণ করে মাতৃভূমির স্বাধিকারের অদম্য আকাঙ্খায় বাবা-মা, স্ত্রী-পুত্র, পরিবার ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে শরিক হয় বাংলার অকুতোভয় সূর্যসন্তানরা। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পরও এ ঐতিহাসিক দিনটিতে বাংলার মানুষ পাকিস্তানী হানাদারদের প্রতি চরম ঘৃণা, ক্ষোভ ও ধিক্কারের মধ্য দিয়ে স্মরণ করছে। দিনটি যেমন অভিশপ্ত, তেমনি অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল ইতিহাসের মাইলফলকও বটে।

২৫ মার্চ রাতের শেষ প্রহর তথা ২৬ মার্চ ১৯৭১ প্রথম প্রহরেই বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, অসহযোগ আন্দোলনের একমাত্র কান্ডারি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তারই পথ বেয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

২৬মার্চ ১৯৭১ রাত সাড়ে বারটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দেন এবং রাত সাড়ে তিনটায় হানাদার বাহিনী তাঁকে ধানমন্ডির বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার খবরটি পরদিন নিউইয়র্ক টাইমসের বৈকালিক সংস্করনে প্রকাশ করা হয় এবং এতে বলা পুর্বপাকিস্তানের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সময় দুইটায় স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন। বঙ্গবন্ধ স্বাধীনতার ঘোষনাটি ইপিআরের ওয়ার্লেসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন পর দিন রেডিওতে এটি বার বার প্রচার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনা বিশ্বব্যাপী আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। আকাশবাণী কলকাতা, ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান সহ আমেরিকার কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রচার করা হয়।

সে সময় বাংলাদেশে অবস্থান করা ও বাংলার গণহত্যার খবর প্রচারকারী বিদেশী সাংবাদিক সায়মনডিংক ও তার একটি লিখায় এর বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে তফশিল ১৫০(২) অনুচ্ছেদে এর বিস্তারিত বিবরন রয়েছে। এছাড়াও এবিষয়ে উল্লেখিত গ্রন্থাদিতে ও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। তা তুলে ধরা হলো Sheik Mujib Trimumph And Tragedy S A Karim ,P204,UPL 2006. স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু প্রামান্য দলিল, শামসুল হক আগামী প্রকাশনী ১৯৯৬, পৃ:১২. বঙবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার সেই ওয়্যারসেল বার্তাটি, মুনতাসির মামুন দৈনিক জনককণ্ঠ. ৬ নভেম্বর ২০০০, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও গাণ সম্পাদনা সেলিম রেজা পৃঃ৪৫অনুপম প্রকাশনী, প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারী ১৯৮৮, মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা এ.এস.এম, শামসুল আরেফিন পৃঃ ৯০৩ পুলিশ হেডকোয়াটার্স ঢাকা, বাংলাদেশ, The Procllamation of Independence 10th of April 1971, Pepples Republic of Bangladesh Center for Bangladesh Genocide Research 1971.
www. songramernotebook.com
এহিয়া-ভুট্রো গোপন বৈঠক ও জনতার প্রতি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাঃ
একাত্তরের ২৫ মার্চ সকালে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিপ্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো এক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। ভূট্রো বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত জবাবে জানান, পরিস্থিতি সংকটজনক। বৈঠকের পর থেকেই ঢাকার রাজপথে সেনাবাহিনী নামার গুজব ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। সকাল থেকে সারাদিনই হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে সমবেত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বেশ কয়েকবার ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সামরিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বেশি আগ্রহী। এ অবস্থায় আমাদের পথ আমাদেরই দেখতে হবে। সবাইকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

পাকিস্থানী জেনারেলদের সাথে এহিয়ার গোপন বৈঠক ও গণহত্যার নির্দেশঃ
সেদিন ভূট্টোর সঙ্গে বৈঠক করেই জেনারেল ইয়াহিয়া গোপনে বৈঠক করেন লে. জেনারেল টিক্কা খান, চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান, মেজর জেনারেল মিঠ্ঠা খান, মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারের সঙ্গে। সেখানেই তিনি সব ধরনের মানবিক রীতি-নীতি লংঘন করে বাংলার স্বাধিকারের জন্য আন্দোলনরত গণমানুষের ওপর সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সর্বাত্মক আক্রমণ ও নির্বিচারে গণহত্যা চালাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন।

বাঙালি গণহত্যার নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর বাস্তবায়ন কর্মসূচিও অনুমোদন হয় ওই বৈঠকে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর. জেনারেল জানজুয়া, মেজর. জেনারেল মিঠ্ঠা খান, মেজর. জেনারেল নজর হোসেন শাহ ও মেজর জেনারেল ওমরসহ আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা রংপুর, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম সেনানিবাস সফর করে প্রতিটি স্থানেই শুধু পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন। প্রতিটি বৈঠকে তারা গণহত্যার নীলনকশা সংবলিত একটি করে খাম হস্তান্তর করেন কমান্ডিং অফিসারদের হাতে।

২৫ মার্চের বিদায়ী সূর্যের রক্তিম আভা আর বাতাসে ভেসে আসতে থাকে সর্বনাশের গন্ধ। সমগ্র জাতি তখন স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ তখন এতটাই প্রবল যে, পাকিস্তানি সুসজ্জিত ও দুর্ধর্ষ সামরিক বাহিনীকেও তুচ্ছজ্ঞান করছে প্রতিটি বাঙ্গালী। কেউ পাক বাহিনীর আক্রমণের প্রচন্ডতা ও বীভৎসতা সম্পর্কে আঁচও করতে পারেনি। এদিন সকালেই রেডিও এবং টেলিভিশন ভবনে অবস্থান নেয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। সকাল থেকেই বাঙালি জাতির আন্দোলন-সংগ্রাম ও মুক্তির সূতিকাগার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ৬৬৭ নম্বরের বাসাটি সামনের চত্বর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সারাদিন ধরে চলতে থাকে রাজনৈতিক শলাপরামর্শ। বিকাল ও সন্ধ্যা থেকেই বঙ্গবন্ধু ভবনকে ঘিরে বিভিন্ন রাস্তায় শুরু হয় ব্যারিকেড।

সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে গোপনে সাদা পোশাকে কড়া পাহারার মধ্যে জেনারেল ইয়াহিয়া খান সরাসরি তেজগাঁও বিমানবন্দরে রওনা করেন। বিমানবন্দরেও তিনি পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক বাহিনী প্রধান লে. জেনারেল টিক্কা খানসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করার নির্দেশ দিয়ে রাত পৌনে ৮টায় পিআইএ’র একটি বিশেষ বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন।

এ রাতেই পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোও সবার অলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট হাউস ছেড়ে ওঠেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ঢাকা ত্যাগের খবরটি দ্রুত বঙ্গবন্ধুর কাছে পৌঁছে বিমানবন্দর থেকেই। দলে দলে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আসতে থাকেন বঙ্গবন্ধু ভবনে। রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দলের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এইচএম কামরুজ্জামানসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা।

তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বঙ্গবন্ধু ২৭ মার্চ সারাদেশে হরতাল আহ্বান করেন। এরপর আসেন কর্নেল এমএজি ওসমানী, ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু সবাইকে গোপন স্থানে চলে যাওয়ার ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দেশ দেন। রাত ১১টায় আসেন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান, আসম আবদুর রব ও শাজাহান সিরাজ। তাদের সঙ্গেও বঙ্গবন্ধু পৃথক বৈঠক করেন। বঙ্গবন্ধু উপস্থিত সবাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠান।
এ সময় দলের কয়েকজন নেতা তাকে আত্মগোপনের পরামর্শ দিলে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘পাক বাহিনী আমাকে এখানে খুঁজে না পেলে ওরা পুরো ঢাকা শহর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে সবকিছু ছারখার করে দেবে। আমার লোকদের ওরা নির্বিচারে হত্যা করবে। আমাকে, মেরে ফেলুক, তবুও বাংলার মানুষ রক্ষা পাবে।’ এরই মধ্যে শেখ কামাল বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও জামাতা ড. ওয়াজেদও নিরাপত্তার কথা ভেবে অন্য বাসায় আশ্রয় নেন। এ সময় বাসায় অবস্থান করেন বঙ্গবন্ধু, বেগম মুজিব, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল। রাত ১২টায় খবর আসে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী পিলখানা, রাজারবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা করেছে।

রাত সাড়ে বারটার কিছু পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়ে তার বাসভবনেই অবস্থান করতে থাকেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে কর্নেল জহিরের নেতৃত্বে একটি কমান্ডো পাটুন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই মধ্যে ক্যাপ্টেন হুমায়ুন বঙ্গবন্ধু ভবনের দেয়ালের চারদিকে অবস্থান গ্রহণ করে। মেজর বিলাল বঙ্গবন্ধু ভবনের দোতলার একটি বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে।
তারা বঙ্গবন্ধুকে বন্দি অবস্থায় ট্যাংক-কামানসহ কড়া পাহারায় শেরেবাংলা নগরের সামরিক সদর দফতরে নিয়ে যায়। পরে তাকে নেয়া হয় ক্যান্টনমেন্টের সেনাবাহিনীর অফিসার্স মেসে। টিক্কা খানের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুকে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকেই পরদিন নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে। (চলবে)

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...