গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বানিজ্যিক ভাবে গোলাপ ফুল চাষ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বানিজ্যিক ভাবে গোলাপ ফুল চাষ শুরু করে সফলতার মুখ দেখছেন ফুলচাষি আ. রশীদ প্রধান। তার বাড়ি উপজেলা পৌরসভার জামালপুর গ্রামে। তিনি জানান বানিজ্যিক ভাবে গোলাপের চাষ করে বছরে আয় করছেন ৬-৭ লাখ টাকা। তার দেখাদেখি অনেকের এ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

জানা গেছে, জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা রশীদ প্রধান তার নিজের বেকারত্ব ঘোচাতে নিজেই উদ্যোগ নেন ফুল চাষের। তিনি ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে চায়না, লিংকনসহ বিভিন্ন জাতের সাড়ে ৪ হাজার ফুলের চারা ক্রয় করেন। এরপর তিনি তার নিজস্ব ৪০ শতাংশ জমি প্রস্তুত করে চারা রোপন করে এই চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে বাগান বাড়াতে ভারত থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার ফুলের চারা ক্রয় করে নিয়ে এসে আরো ৬০ শতাংশ জমিতে রোপন করেন। রোপনের ৬ মাস পর খরচ বাদে তিনি মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করেন। এখন তার এক একর জমিতে গোলাপ ফুল চাষ রয়েছে। এ ছাড়া ফুলের বাগানে তিনি চায়না কমলা লাগিয়েছেন। এক বছর পর থেকে কমলা গাছ থেকে ফল পাওয়া শুরু করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গোলাপ ফুলের বাগানে প্রতিটি গাছে ফুল ধরাতে সৌন্দয্য যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে। গাছের ডালপালাগুলো বেড়ে সবুজের সমারোহ ও গাছের ডালপাতাসহ বিভিন্ন রঙের সুভাস ছড়ানো ফুল বাতাসে দুলছে। অপরূপ সুন্দর্য গোলাপ ফুলের বাগান দেখতে উৎসুক ছাত্রছাত্রীসহ আশপাশের ওই এলাকার মানুষ মাঝে মধ্যেই বাগান দেখতে আসছেন। ফুলচাষি রশীদ প্রধান বলেন, আমার নিজ চেষ্টা ও পরিশ্রমে বাগানটি গড়ে তুলেছি। বর্তমানে ফুল বিক্রি করে আমি বছরে খরচ বাদে ৭-৮ লাখ টাকা আয় করছি। চাকরি থেকে খুব ভাল যখন তখন টাকার হাতে পাচ্ছি এবং নিজেকে স্বাচ্ছন্দবোধ করছি।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে উপসহকারী শর্মিলা শারমিন জানান, কৃষি অফিসে ফুল চাষের উপর বরাদ্দ না থাকলেও তাকে প্রণোদনা, প্রশিক্ষন ও সবরকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, তিনি গোলাপ ফুল চাষ করে খুব ভাল করেছেন। তিনি যেন আরো ভাল করতে পারেন সেদিক থেকে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রণোদনা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

[১] [২] [৩]