বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও বোমা হামলার বিস্ফোরণের শব্দে আবারও কেঁপে উঠেছে সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম। ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন। মিয়ানমারের গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্তে এ আতঙ্ক দেখা যায়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়। এর আগে, সীমান্তের ওপার থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টারশেলের শব্দ শুনতে পান হোয়াইক্যং, হ্নীলা, শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা। সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টেকনাফ সীমান্তের দক্ষিণ প্রান্তে এবার মিয়ানমার থেকে সবচেয়ে বেশি গুলির শব্দ ভেসে আসছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, সেহরির সময় থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলি ও মর্টার শেলের আওয়াজ শুনতে পান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বিকট শব্দে ঘুমাতে পারেননি কেউ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, রাখাইনের মংডু টাউনশিপের উত্তরে নাকপুরা, বলিবাজার, পেরাংপ্রু, কাওয়ারবিলসহ কয়েকটি গ্রামে রোববার রাত থেকে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘাত চলমান রয়েছে। এসব এলাকায় দুই পক্ষ পরস্পরের ওপর হামলা ও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্তচৌকি দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইতিমধ্যে মংডু টাউনশিপের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বপাশের রাচিডং টাউনশিপসহ ১০টির বেশি থানা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য ও বিভিন্ন দফতরের ৩৩০ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পরে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এরপর গত ১৫ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে তাদের পরিচয় শনাক্ত ও ডেটাবেইসের কাজ শেষ করা হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাড়া পেলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...