বাঁচলো না শিশু সোনিয়াও, মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত বেড়ে ৬

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া আক্তার (১২) মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের মতো সেও চলে গেল।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টের এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনও মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। লাশ নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছেন।

সোনিয়াদের বাড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রাম। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্টের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় শিশু সোনিয়া আক্তার।

[১] [২] [৩]