সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার দুর্গম চরমোহনসহ আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার সমপরিমাণ জাল নোট ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল চক্রটি বলে জানিয়েছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দন আহমেদ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জালনোট তৈরি ও ব্যবসায়ী চক্রের হোতা মো. আরিফ ব্যাপারী (২০), তার অন্যতম প্রধান সহযোগী ও চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. জাহিদ (২৩) ও অনিক (১৯)।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দন আহমেদ জানান, পেশায় ফটোকপি দোকানের কর্মচারী আরিফ ব্যাপারী (২০)। প্রথমে নিজের আয়ের টাকায় জাল টাকা তৈরির মেশিন কেনেন। এরপর রাজমিস্ত্রি অনিক ও পদ্মা নদীর জেলে জাহিদকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন জাল টাকা তৈরির চেষ্টা।
ইউটিউব দেখে দেখে দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে সফল হন তারা। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে কম দামে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট দিয়ে সংগ্রহ করেন ক্রেতা। ৭-৮ দিন আগে তারা ১২ লাখ টাকার একটি জাল নোটের চালান সরবরাহ করেন। এখান থেকে তারা আয় করেন দেড় লাখ টাকা।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার সমপরিমাণ জাল নোট ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে সরবরাহের করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তারা প্রতি ১ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। ঈদ উপলক্ষ্যে জাল নোটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তারা প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি শুরু করেন।
লে. কর্নেল আরিফ বলেন, রাজধানীর বাংলা বাজারের বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করা বেশিরভাগ লোক শরীয়তপুর জেলার। ফলে আরিফের পরিচিতদের সূত্র ধরে সে বিভিন্ন সময় রাজধানীর বাংলা বাজারে এসে অবস্থান করে প্রিন্টিং সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে। সেই ধারণা থেকেই জাল টাকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন রং, কালি ও কাগজ পুরান ঢাকা কিনে নেয়।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03