গাজার আল-আকসা হাসপাতালে বিমান হামলা, ৭ সাংবাদিক আহত

গাজার আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিবিসির এক ফ্রিল্যান্সারসহ সাত সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি। জানা যায়, এ ঘটনায় ইসলামিক জিহাদ (আইজে) জঙ্গি গোষ্ঠীর চার সদস্য নিহত হয়। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতাল চত্বরে আইজের কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ জঙ্গিরা ওই হাসপাতালকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।

অন্যদিকে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস এবং চিকিৎসা কর্মীরা। তবে, হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকায় কাজ করা শেষ হাসপাতাল আল-আকসা। হাসপাতাল চত্বরে অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নেয়া শতাধিক মানুষের মধ্যে সাংবাদিকরাও রয়েছেন। এসব সাংবাদিকদের বেশিরভাগই উত্তর গাজার বাসিন্দা। তারা সামান্য খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট এবং ইসরায়েলি হামলার হুমকিসহ অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

হামলায় বিধ্বস্ত সবচেয়ে কাছের তাঁবুটি তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর। আলী হামাদ নামের একজন ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, কোনও রকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাঁবুতে কোনও সন্ত্রাসী ছিল

বিবিসির ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার সাইদ জারাস বলেছেন, আমরা নিরস্ত্র সাংবাদিক এবং আমাদের কিছুই করার নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস হাসপাতালে হামলা বন্ধ এবং রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং মানবিক মিশনের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছে। খান ইউনিস শহরের কাছে বনি সুহাইলায় ইসরায়েলি হামলায় আরও নয়জন মারা গেছে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়। এর জবাবে পালটা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭৮২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৫ হাজার ২৯৮ জন আহত হয়েছে। এই মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানিয়েছিলেন, নিহতদের ২৫ হাজারের বেশি নারী ও শিশু।

[১] [২] [৩]