প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে স্বাধীনতা পদক গ্রহণ করছেন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৪, ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

গত সোমবাৱ (২৫ মাৰ্চ) ৱাজধানীৱ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশেৱ সৰ্বোচ্চ বেসামৱিক পদক বিজয়ী বা তাদেৱ পৱিবাৱেৱ সদস্যদেৱ হাতে এ পদক তুলে দেন মাননীয় প্ৰধানমন্ত্ৰী। দেশেৱ জন্য গৌৱবোজ্জ্বল ও কৃতিত্ব অবদানেৱ স্বীকৃতিস্বৱুপ মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকি কে স্বাধীনতা পুৱস্কাৱ ২০২৪ প্ৰদান কৱেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী শেখ হাসিনা।
১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মাৰ্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্ৰতিবছৱ ব্যক্তি ও প্ৰতিষ্ঠানকে এই সম্মাম্যননা পুৱস্কাৱ দিয়ে আসছে। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে দেশে বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্বপুৰ্ন অবদানেৱ জন্য ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুৱস্কাৱ ২০২৪ প্ৰদান কৱেন প্ৰধানমন্ত্ৰী।

লন্ডন প্ৰবাসী আবু ওবায়েদ মো: শরিফুল্লাহ জিম এৱ বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ১৯৫৪ সনের ২রা জানুয়ারি গোপালগঞ্জের পাইককান্দি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাইককান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি, দানেৎস্ক স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, ইউক্রেন হতে স্নাতক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

ঢাকা কলেজে পড়া অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠ্য পুত্র শেখ কামালের সান্নিধ্যে এসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরে ১৯৭১ সনের ২৬ শে মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে পাইককান্দি হাইস্কুলে স্থাপিত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে ট্রেনিং নিয়ে পাইককান্দি রণাঙ্গনে পাক সেনা ও রাজাকার আলবদরের সাথে ৩ বার সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টর আরও ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন।

পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপতি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালনসহ ২০০৯ থেকে ২০১৪ সন পর্যন্ত জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক কাম পরিচালক পদ অলংকৃত করেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০২২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি এবং প্রফেসর ডাঃ ওবায়েদল্লাহ-ফেরদৌসী ফাউন্ডেশন ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পাইককান্দি, গোপালগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও চীফ অনকোলজিষ্ট। এছাড়া তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাথে জড়িত আছেন।

তিনি পৃথিবীতে সেক্ৰেটৱী ব্ৰেস্ট ক্যান্সাৱ, ইটিভি৬-এনটিআৱকে৩ ফুশান পজেটিভ ব্ৰেস্ট ক্যান্সাৱ নামে একটি নতুন ও প্রথম স্তন ক্যান্সারের আবিষ্কারক হিসাবে ভূষিত হন। এ ঘটনা ও সাফল্য বিশ্বের নামকরা মেডিকেল জার্নালে যেমন আমেৱিকান সোসাইটি অফ ক্লিনিক্যেল অৱকোলজি জাৰ্নাল, দি লানসিট জাৰ্নাল, বাংলাদেশ ক্যান্সাৱ জাৰ্নাল এ প্রবন্ধ আকারে প্রকাশিত হয়েছে।

এ পর্যন্ত দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালে তাঁর ১১৮টির মত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এবং ২০১৬ সন থেকে আমেরিকার মেমোৱিয়াল স্লোন কেটাৱিং ক্যান্সাৱ সেন্টাৱ এ একজন সফল গবেষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
চিকিৎসা পেশায় ও সমাজ সেবায় অনন্য অবদান রাখার জন্য তিনি মাদার তেরেসা শাইনিং পারসোনালটি এওয়ার্ড-২০১১; বিশ্ব মানবাধিকার দিবস এওয়ার্ড-২০১১; স্বাধীনতা সম্মাননা-২০১৫ প্রভৃতি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...