সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের (ব্রেন ডেড মানুষের অঙ্গ প্রতিস্থাপন) মাধ্যমে কিডনি নেয়া শামীমা আক্তার মৃত্যুবরণ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও সার্জম ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমার মৃত্যু হয়।
এর আগে, প্রথম ক্যাডাভেরিক সারাহ ইসলামের অপর কিডনি গ্রহীতা হাসিনাও গত বছরের অক্টোবরে মারা যান।
এ বিষয়ে ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, সারাহ ইসলামের কিডনি গ্রহীতা শামীমা আক্তার মারা গেছে। এর আগে প্রথমজন লাঙ্কের ইনফেকশনে (ফুসফুসের সংক্রমণ) মারা যান। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।
শামীমার মৃত্যর বিষয়ে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, শামীমা গত ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন। সম্প্রতি ক্রিটিনিন বেড়ে যাওয়ায় তার শরীর শুকিয়ে যায়। পরে তিন সপ্তাহ আগে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিল সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। ক্রিটিনিন পুনরায় বাড়ায় ওয়ার্ড থেকে কেবিনে আনা হয়। তারপরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চার দিন আগে আইসিইউতে নেয়া হয়।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ক্যাডাভেরিক সার্জারি করা এই সার্জন বলেন, তার হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু আমাদের সেখানে সমস্যা হওয়ায় ওয়ার্ডে নিয়েও সি ভাইরাস ডায়ালাইসিস দিয়েছিলাম। এরপর আর উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে আনা হয়। সেখানেই আজ রাত ৯টার দিকে মারা যান।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে সারাহ ইসলামের অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট শুরু হয়। সারাহ ইসলামের দুই কিডনি শামীমা ও হাসিনা নামে দুই রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। যা দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করে। তবে সফলতার যে কথা বলা হয়েছিল, এক বছরের মধ্যে গ্রহীতাদের মৃত্যুর মাধ্যমে তা অনেকাংশে ম্লান হয়ে গেছে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03