সব
অনলাইন ডেস্ক,
ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা। দস্যুদের অনুমতি নিয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে জিম্মি নাবিকরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। নাবিকদের পরিবারদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
জিম্মি এক নাবিকের ছোট ভাই একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তার ভাই তাকে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে ফোন করেছিলেন। এ সময় তিনি জানিয়েছেন যে, আজ সোমালিয়ায় ঈদ উপযাপন হচ্ছে এবং তারা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
ওই নাবিক তার ভাইকে ফোনে আরও জানান, বারবার অনুরোধের পর জলদস্যুরা তাদের ঈদের নামাজ পড়ার সুযোগ দেয় এবং নামাজের পর তারা কেবিনে অবস্থান করেন।
আরেক নাবিকের স্ত্রীও ঈদের নামাজ আদায়ের বিষয়টি ওই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার স্বামী বিকেল ৫টার দিকে ফোন করেছিলেন। কথোপকথনের বরাত দিয়ে নাবিকের স্ত্রী বলেন, ‘সকালে জাহাজের সিনিয়র নাবিকরা দস্যুদের কাছে অনেকবার নামাজের সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ করেন। পরে জলদস্যুরা তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়। তারা জাহাজের ডেকে নামাজ আদায় করেন এবং সে সময় ভারী অস্ত্রসহ জলদস্যুরা তাদের পাহারা দেয়।
অন্য এক নাবিকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দস্যুদের কড়া পাহারার মধ্যে ঈদের নামাজ আদায় করেন নাবিকেরা। পরে তারা একটি ছবি তোলেন। ছবিতে দেখা যায়, নাবিকেরা জাহাজের হ্যাচের ওপর ত্রিপল বিছিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। জিম্মি ২৩ নাবিকের মধ্যে ২২ জনকে ছবিতে দেখা গেছে। জিম্মি অপর নাবিক ছবিটি তুলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছবিতে আরও দেখা যায়, নাবিকদের বেশির ভাগই পায়জামা–পাঞ্জাবি ও টুপি পরেছেন। উপকূলের দিক থেকে সাগরমুখী হয়ে ছবিটি তোলা হয়েছে। ছবিতে নাবিকদের পেছনে নীল সাগর দেখা যায়। হ্যাচের ওপর জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো–নামানোর কাজে ব্যবহৃত ক্রেনের বডি, হুক ও গ্র্যাব দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়ে। মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরাহ যাচ্ছিল জাহাজটি। সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা অবস্থায় জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03