এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে খরচ হয়েছে ৫০ লাখ ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ৮:২৭ অপরাহ্ণ

সোমালি জলদস্যুদের কাছ থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। ৩১ দিন পর ১৩ এপ্রিল রাতে মুক্তি পায় জাহাজ ও নাকিকরা।
জাহাজটির মালিক ও বাংলাদেশ সরকারের কেউ জলদস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানাননি।

তবে সোমালি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া এবং ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যেসব জলদস্যু বাংলাদেশি জাহাজটি জব্দ করেছিল তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ ডলার দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৭ কোটি টাকার সমান।

ডেইলি সোমালিয়া আরও জানিয়েছে, অর্থ পাওয়ার পর কিছু জলদস্যু স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুটল্যান্ডের উপকূলে পালিয়ে গেছে। এখন এই দস্যুদের ধরতে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়ার আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।

যেহেতু বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করে দস্যুরা মুক্তিপণ আদায়ে সক্ষম হয়েছে। তাই অন্যান্য দস্যুরাও জাহাজ জব্দ করার মিশনে নামতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, বৃটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সও জানিয়েছে, জলদস্যুদের ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়েই বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে। তারা দুই দস্যুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছে। দস্যুরা তাদের জানিয়েছে, দুই দিন আগেই মুক্তিপণের অর্থ দেয়া হয়। এরপর অর্থগুলো আসল নাকি নকল ছিল সেটি যাচাই করা শুরু করে তারা। এরপর অর্থগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে তারা পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এটির মালিক কবির রি রোলিং মিলস। ওই সময় জাহাজটিতে ২৩ নাবিক ছিলেন।

তাদের ছাড়িয়ে আনতে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তাব উঠলেও নাবিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এতে সম্মতি দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। এর বদলে আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার পথ অনুসরণ করা হয়। এতে সব নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

সামুদ্রিক সূত্রগুলো বলছে, জলদস্যুরা হয়তো ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠীর হামলার কারণে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিচ্ছে।

এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই পৌঁছাতে ৫ থেকে ৭ দিন লাগতে পারে। দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...