ফিটনেস, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেনবিহীন বাসটি কেড়ে নিল ১৩ প্রাণ


ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৩ জন। জানা গেছে, ইউনিক পরিবহণের বাসটি রুট পারমিট, ফিটনেস ছাড়পত্র ও ট্যাক্স টোকেন ছাড়াই চলাচল করছিল। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপটিও বিধি লঙ্ঘন করে যাত্রী পরিবহন করছিল। পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সবাই পিকআপের যাত্রী ছিলেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, বাসটির চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চালানোর অনুমোদন (রুট পারমিট) থাকলেও ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে তা আর হালনাগাদ করা হয়নি। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ট্যাক্স টোকেন হালনাগাদ করেছিল বাসটি, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মাগুরা যাচ্ছিলো। পথে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানকে চাপা দেয় বাসটি। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিকআপভ্যানটি। ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন মারা যান।

এরপরই ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের ৫ লাখ, আহতদের ৩ লাখ এবং মরদেহ দাফনের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

এদিকে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি থেকে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রায় ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে ঢাকায় আসছিল। নিহত সবাই পিকআপের যাত্রী ছিলেন। সুতরাং পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির দায় এড়াতে পারে না।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা নিহত পরিবারগুলোকে উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ ও চিকিৎসা শেষে পুনর্বাসনের জন্যথ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। এ ছাড়া বিবৃতিতে নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা, শোকসন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।

[১] [২] [৩]