সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৬ মৃত্যু

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ণ

দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ বইছে। দেশের ১২ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রির উপরে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছেন।

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। গরমের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগবালাই। প্রচণ্ড গরমে ডায়ারিয়া, পেটের পীড়া, ঠান্ডা, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক হচ্ছে। তীব্র গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, তাকে হিট স্ট্রোক বলে। শিশু ও বৃদ্ধদের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম থাকায় হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিরা যেহেতু প্রায়ই বিভিন্ন রোগে ভোগেন যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, কিডনি, লিভার বা হার্টের রোগী, স্ট্রোক বা ক্যানসারজনিত রোগে যারা ভোগেন, এমনকি যে কোনো কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম কিংবা নানা ওষুধ সেবন করেন, যা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললে হিট স্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়। প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করতে হবে। গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ দুইই বের হয়ে যায়। তাই পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন-খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি ইত্যাদিও পান করতে হবে।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। গরমের সময়ের একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিট স্ট্রোক।

এদিকে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট (শিশু হাসপাতাল), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে এসব হাসপাতালে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুই শতাধিক শিশু। মুগদা হাসপাতালের শিশু বিভাগেও ইতোমধ্যে রোগীতে সব শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও।

মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফিরোজ জানান, ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় আসার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তিন দিন ধরে পেট খারাপের কারণে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে থেমে থেমে আসছে জ্বর।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিনের গরমে শিশুরা নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই গরমের কারণে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে আমার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেশি। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার আমরা অস্বাভাবিক বলছি।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০৭, ২০৮ ও ২১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ শয্যায় দুজন করে রোগী আছে। বারান্দা ও ওয়ার্ডের মেঝেতে বিছানা করে আছে দ্বিগুণ রোগী।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানান চিকিৎসকরা। এতে করে সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। শয্যা খালি না থাকায় মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। তবে গরমে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও বেগ পেতে হচ্ছে সেখানকার গরমে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ বলেন, গরমে রোগীর চাপ বাড়েই। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ঢামেকে রোগীর চাপ আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়তে পারে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সবাইকে চিকিৎসা দেয়ার।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাইখ আবদুল্লাহ জানান, ঈদের আগে দিনে গড়ে রোগী আসতো ২০০-এর মতো। এখন ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

অন্যদিকে তীব্র এই তাপদাহে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ঢাকায় একজন, চট্টগ্রামে দুই জন, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও গাজীপুরে একজন করে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা: শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় এক বৃদ্ধ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে তার না পরিচয় জানা যায়নি। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর সাংবাদিকদের জানান, রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণে মৃত্যু হতে পারে।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ভ্যাপসা গরমে হাসফাঁস করছে মানুষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে শিশুসহ দু’জন। গরমের তীব্রতায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে ছয় মাস বয়সী এক শিশুসহ ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত বৃদ্ধের নাম ছালেহ আহমদ শাহ (৭০)। ছালেহ আহমদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া এলাকায়।

ছালেহ আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে আনোয়ারা হলি হেলথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আনোয়ারা হলি হেলথের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই ছালেহ আহমদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

এছাড়া একই জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় সাফা নামের ছয় মাস বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু ঘটে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ২নং ওয়ার্ড আনজিরমারটেক সৈয়দ আলমের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তার বাবার নাম মো. নিজাম উদ্দীন।

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দীন বলেন, ভোরে মায়ের বুকের দুধ পান করার কিছুক্ষণ পর সাফা ঘুমিয়ে যায়। সে সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। সকাল সাতটায় মেয়েকে কোলে নেওয়ার পর তার শরীর ঠান্ডা অনুভব হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবরিনা আকতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের ধারণা বিদ্যুৎ না থাকায় সে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।

গাজীপুর : গাজীপু‌র সিটি করপোরেশনের কোনাবা‌ড়ি‌র জেলখানা রোডে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। শ‌নিবার (২০ এপ্রিল) বি‌কে‌লে তার মর‌দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতালের ম‌র্গে পা‌ঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আশরাফ উদ্দিন।

সোহেল রানা গাজীপুর সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের এনা‌য়েতপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। খবর পেয়ে পু‌লিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ক‌রে হাসপাতালের ম‌র্গে পাঠায়।

পাবনা : তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ পাবনার জনজীবন। শনিবার (২০ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাপদাহে পাবনা শহরে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম।

ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যাক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা উনাকে চিকিৎসা চিকিৎসা দিতে পারিনি। নাম-পরিচয় জানার পর আত্মীয়-স্বজন আসছিল। মরদেহ তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা : চু্য়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ। টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের জনজীবন। জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ তা অতি তীব্র তাপদাহে রূপ নিয়েছে। আজ এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন কেন? জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক গওহাব নঈম ওয়ারা বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন তো আমি দেখছি না। গরম কালে তো গরম পড়বেই। তবে আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন তো আছেই। আর আমরাই আসলে এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী। গাছ কেটে আমরা কংক্রিটের শহর বানাচ্ছি। আবার ঢাকা শহরেই দেখেন রমনা পার্কে তাপমাত্রা কত? আর মতিঝিলে তাপমাত্রা কত? এক শহরেই দুই রকম অবস্থা। শুধু তাই না, ঢাকা শহরে যে গাছগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো ইউক্যালেকটাস বা শিমুল কাছ। এগুলো তো আমাদের গাছ না, আমাদের নিজেদের যে গাছ সেগুলো থাকলেও পরিস্থিতির উন্নতি হতো। আবার দেখেন, কিছুদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি, চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এর কারণ কী জানেন? তাপমাত্রা মাপার যে যন্ত্র সেটা চুয়াডাঙ্গাতে বসানো হয়েছে, সে কারণে ওখানের তাপমাত্রা বেশি দেখাচ্ছে। পাশের জেলা মেহেরপুরের তাপমাত্রা কি কম? আসলে না। এমন অনেক অসঙ্গতি আছে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...