সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আর বিতর্ক যেন একই সুতোয় গাঁথা। কয়েক মাস আগেই ফুটবলারদের বেতন নিয়ে অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয় বাফুফে। তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবল পরিচালনা থেকে শুরু করে সব কিছু করেন স্টাফরাই। সেই স্টাফদের বড় অংশ (৪২ জন) এমপ্লয়িং গ্রেডিং, এইচআর পলিসি, বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, চার সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে।
বাফুফের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাধারণ সম্পাদক। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার আগে ছিলেন প্রটোকল ম্যানেজার। প্রটোকল ম্যানেজার থেকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এরপর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। ছয় মাসের ব্যবধানে নতুন সাধারণ সম্পাদকের বেতন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।
সাধারণ সম্পাদকের স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আকাশচুম্বী বেতনের পাশাপাশি গত কয়েক মাসে বাফুফেতে উচ্চ বেতনে বেশ কয়েকটি নিয়োগ হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের বেতন পুরনো অভিজ্ঞদের চেয়ে বেশি। যদিও তাদের কর্মঅভিজ্ঞতা, যোগ্যতা পুরনোদের চেয়ে বেশি নয় এরপরও পদে এবং বেতনে উপরে। যা ফেডারেশনের বেশ বড় সংখ্যক স্টাফের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। নতুন নিয়োগ প্রাপ্তরা আবার আলাদা ভাবে চলাফেরা করছেন। বাফুফে প্রশাসনে নতুন-পুরাতন অলিখিত বিভেদ অনেকটাই স্পষ্ট।
বাফুফে ফিফার অধিভুক্ত সংস্থা হলেও এখানে এইচআর পলিসি ও স্টাফদের সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নেই। এই সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা গত ৩ মে নির্বাহী সভায় অনুমোদন হওয়ার কথা ছিল। সভায় উথাপিত হলেও পরবর্তী সভার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। বেশ কয়েক মাস নীতিমালা অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা স্টাফদের ধৈর্য্যরে বাধ ভেঙেছে। তাই সভাপতি বরাবর চিঠি দিতে বাধ্য হয়েছেন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03