কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে অটোরিকশা চালকরা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৪, ৬:২৭ অপরাহ্ণ

রাজধানীর মিরপুরের কালশী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত অটোরিকশাচালকরা। রোববার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেন তারা।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর অনুমতি চেয়ে রোববার সকাল থেকেই মিরপুর-১ ও ১০ নম্বর এবং আগারগাঁও এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এতে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

চার ঘণ্টা অবরোধের পর বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলে উত্তেজিত অটোরিকশাচালকরা লাঠি ও ইট দিয়ে তিনটি বাস ভাঙচুর করে। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।

এদিকে, বিক্ষোভের মধ্যেই মিরপুর ১০ নম্বর সড়কে যানবাহন ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকজন শ্রমিকের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা রিকশাচালকরা।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির জানান, প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধের কারণে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। আড়াইটার দিকে একপাশ দিয়ে বাস চলাচল শুরু করলে তিনটি বাস ভাঙচুর করে অটোরিকশাচালকরা। তবে পুলিশের বাধায় তারা সেখান থেকে সরে যায়।

বিক্ষোভের কারণে মেট্রোরেল ও যাত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের দুটি গেট বন্ধ রাখে পুলিশ। এমআরটি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ খান এ তথ্য জানান।

এমআরটি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের উত্তরের দুটি গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এ গেট দুটি বন্ধ থাকলেও অন্য গেট যথারীতি খোলা রয়েছে এবং যাত্রীরা চলাচল করছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন।

কাদের বলেন, ঢাকা শহরে যে ধরনের লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে আধুনিক গণপরিবহণ চলাচল করে। কিন্তু ঢাকায় লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে। এগুলো দেখতেও তো খারাপ লাগে। এর চেয়ে ঢাকার বাইরে মফস্সল এলাকাগুলোয় উন্নতমানের গণপরিবহন চলে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...