রেমাল মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন। রোববার (২৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনুমান আজ রাত ৯টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানবে। আমাদের প্রতিটি নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কোস্টগার্ড গত তিনদিন ধরে উপকূলের ৫৭টি স্থানে মাইকিং করে যাচ্ছে। একইসাথে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ বোটের সাথে কিছু রিলিফও তারা জোগাড় করে রেখেছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে এই রিলিফ তাদের প্র‍য়োজন হতে পারে বলে এই প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছে।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের নৌপুলিশ এবং জেলা পুলিশ কাজ করছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তারা কাজ করছে। বাংলাদেশ আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গত ৪ দিন যাবত ১০ হাজার সদস্যকে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন এবং পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য সেখানে অবস্থান করছে। বিজিবি এবং র‍্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় বিজিবির ছোট ছোট বিওপি সুরক্ষার জন্যও ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে যদি সেখানে কিছু ধ্বংস হয় তবে রিলিফ কার্যক্রমের জন্য র‍্যাব সেখানে প্রস্তুত রয়েছে। যারা এখনই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছেন তাদের নিরাপত্তার জন্য এখনই পুলিশ এবং র‍্যাব সেসব জায়গায় অবস্থান নিয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আপনারা জানেন- সুনামগঞ্জে হঠাৎ করে বন্যা হয়ে কারাগারের ভেতরে দুই থেকে তিনফুট পানি ঢুকে গিয়েছিল। সেজন্য উপকূলীয় কারাগারগুলোতে যাতে এধরনের পরিস্থিতি না হয় সেকারণে আইজি (প্রিজন) সেসব প্রস্তুতি নিয়েছেন। উপকূলীয় এলাকার কারাগারে বন্দিদের অন্য নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া বা তাদের খাদ্যসামগ্রীর যাতে কোনো ঘাটতি না হয় সেগুলোরও তারা একটা প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ভি-সেট নেটের মাধ্যমে আমাদের কোস্ট গার্ড লাইভ মনিটরিং করে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস পুরো উপকূলীয় এলাকায় তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য পাঁচ হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে রাস্তাঘাট ও স্থাপনা মেরামত এবং অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট জনবল-সেচ্ছাসেবীরা প্রস্তুত আছে। যাতে করে তাৎক্ষণিক আমরা একটা ব্যবস্থা নিতে পারি। আমাদের সবাই সেজন্য প্রস্তুত আছে। ঘূর্ণিঝড়কালীন কিংবা পরবর্তী সময়ে লুটপাটের ঘটনা এড়াতেও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা প্রস্তুত আছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...