‘বাংলাদেশ একটি ভালো বিনিয়োগ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে’

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৪, ৭:১৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনাময় খাত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রাপথে মার্কিন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের অংশীদার হওয়ার আহবান জানান। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি নীতিগত সুবিধা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (২৭ মে) গণভবনে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উচ্চ পর্যায়ের একটি নির্বাহী প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রকে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হওয়ার আহবান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নতি করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। পুরো এই অঞ্চলের মধ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি নীতিগত সুবিধা দিচ্ছে। কেননা, বিনিয়োগকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে আমাদের সরকার। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় বাংলাদেশ একটি ভালো বিনিয়োগ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাপথে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে আঞ্চলিক অংশীদারদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনাময় খাত তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, ভারী ও হালকা শিল্প, আইসিটি, মেরিন রিসোর্সেস, কেমিক্যাল খাতে বিনিয়োগের আহবান জানাচ্ছি।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অবহিত করেছেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন।

এই সময় নজরুল বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য মার্কিন বিনিয়োগকারীরা উচ্চাকাঙ্খা ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু চ্যালেজ্ঞ উল্লেখ করেন।’

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এর প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত (অব.) অতুল কেসাপ ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এই সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...