সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়ার কথা না থাকলেও, অযৌক্তিকভাবে বাজারে কারসাজি করে কিছু পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর পুরান ঢাকায় ঈদুল আজহা সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ঢাকাস্থ মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভোক্তার ডিজি বলেন, অযৌক্তিকভাবে কিছু পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিগত রোজায় দেখা গেছে, কিছু পণ্যের চাহিদাকে পুঁজি করে বাজার অস্থির করা রাখা হয়েছিল। তেমনিভাবে কোরবানি এলেই গরম মসলার দাম বাড়ে। গত এক মাসে গরম মসলার দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশ। এভাবে দাম বাড়ার কথা না। তাহলে নিশ্চয়ই বাজারে কোনো কারসাজি হচ্ছে! মানুষের এ নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে।
এ ছাড়া বিগত মাসে গরম মসলার দাম অতিরিক্ত বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর কেউ অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
তিনি আরও বলেন, বাজারে কিছু পণ্যের দ্রব্যমূল্য বাড়ার কিছু যৌক্তিক কারণ আছে। ডলারের দাম বৃদ্ধি, ডলার সংকট, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও এলসির সমস্যার মতো কিছু কারণ আছে। এসব সমস্যা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তা ছাড়া সব ব্যবসায়ী খারাপ না। কতিপয় ব্যবসায়ীর জন্য সবার বদনাম হয়। ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, গত এক মাসে গোল মরিচের দাম ৫০০ টাকা বেড়েছে। কোরবানিতে যেসব মসলার চাহিদা বেশি থাকে, সেগুলোর প্রতিটির দামই বেড়েছে অনেক। অভিযানে গেলে, মূল্যতালিকা ও ক্যাশমেমোর দামের মধ্যে অনেক ফারাক দেখা যায়। তাই এসব অনিয়ম বন্ধের জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. গোলাম মওলা বলেন, ডলার সংকট ও এলসি খোলার সমস্যা সমাধান না করলে যত মিটিং হোক-না কেন, কোনো কাজে আসবে না। তাই ব্যবসায়ীদের জন্য অধিদপ্তরকে এসব ব্যাপারেও নজর রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03