মর্টার শেল-গুলির শব্দে কাঁপছে শাহপরী-সেন্টমার্টিন, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতে ফের মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। মিয়ানমারের আকাশসীমায় উড়ছে যুদ্ধবিমান। তাদের গোলাগুলির বিকট শব্দে আতঙ্কে দিন কাটছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড।

বুধবার (১২ জুন) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে মিয়ানমারের ভারী গোলা ও মর্টার শেলের শব্দে শাহপরীর দ্বীপ এবং সেন্টমার্টিন কেঁপে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সীমান্তের ওপারের গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুম রাত কাটান বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা।

সাবারাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসনাইন বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে ফের মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্তের এপারে টেকনাফ সাবারাং শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন সৃষ্টি হয়েছে।

সীমান্তে দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে ফের সংঘর্ষ এপারের মানুষজনের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। আমরা জেনেছি, ওপারে যুদ্ধ তীব্র হচ্ছে, ফলে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে- তাই সীমান্তরক্ষীরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে নাফ নদের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে মিয়ানমারের জলসীমায় সে দেশের যুদ্ধ জাহাজ এসেছে। জাহাজটি রাতেও মৌলভীপাড়ার সীমান্তের ওপারে দেখা গেছে। এরপর রাত থেকে শুরু হওয়া মর্টারশেলের বিকট গোলার শব্দ থামেনি। পুরো রাতজুড়ে শাহপরীর সীমান্ত দ্বীপটিতে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে।

এদিকে গুলির শব্দে কাঁপছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনও। মিয়ানমারের আকাশসীমায় উড়ছে যুদ্ধবিমান। এতে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সারারাত মিয়ানমার থেকে ফের মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না।

এদিকে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর কারণে সাত দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওষুধ, খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছেন দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা। তবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের বিকল্প রুট খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে খাবার ও পণ্যবাহী দুটি জাহাজ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...