ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কাটা হয় ট্রেনের ৫০০ টিকিট : র‌্যাবের খাঁচায় ১২ জন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৪, ৬:২৪ অপরাহ্ণ

অনলাইন টিকিট বিক্রি চক্রের মূল হোতা সোহেল এবং আরিফুলকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে দাবি করে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবির বলেছেন, আমরা গত রাতে অভিযান শুরু করি। এটি চলমান অভিযান ছিল। এটা দুই থেকে তিন ধাপে পরিচালনা করা হয়। ঢাকার কমলাপুর ও আশেপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে দুই ধরনের চক্র রয়েছে। এক ধরনের চক্র অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে কেটে রাখতো। পরে ফেসবুক পেইজে বিজ্ঞাপন দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে। সফটকপি পাঠিয়ে দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে টাকা বুঝে নেয়।

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের দুই জন মূল হোতাসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও থেকে ২ জনকে আটক করেছে র‍্যাব-১৩ ৷ এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ অনলাইন টিকিট ও ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, চক্রের দুজনকে মৌচাক মোড়ের আশেপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। এদের একজনের নাম মানিক ও আরেকজনের নাম বকুল। এদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি মানিক মূলত সোহেল নামে একজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থানকারী আবু, রায়হান ও আনিস নামে আরও একজনের সঙ্গে কালোবাজারি ব্যবসায় আসে। তাদের থেকে আগামী ১০ দিনের টিকিট পাওয়া যায়। এগুলোর হার্ডকপি ও সফট কপি রয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের টিকিটের দাম তিন হাজার টাকা করে বিক্রি করছে। লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবির বলেন, চক্রটি টিকিট প্রায় তিনগুণ দামে বিক্রি করতেন। তারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতেন। আরেকটি চক্র যারা কমালাপুর থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করতো। অনলাইন টিকিট বিক্রি চক্রের মূল হোতা সোহেল এবং আরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টিকিট কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...