ঈদের দিন ভ্যাপসা গরমের মধ্যেই দিনভর বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৪, ৮:০০ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন তীব্র ভ্যাপসা গরমের মধ্যেই রাজধানীসহ সারাদেশে নামতে পারে বৃষ্টি। তা চলতে পারে দিনভর। ঈদের পরের দিনও একই ধরনের পরিস্থিতি থাকতে পারে অর্থাৎ রবিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত একই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে। তারপর বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এতে ভ্যাপসা গরমের তীব্র কষ্ট কমার সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শনিবার খুলনা বিভাগ ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা রবিবারও অব্যাহত থাকতে পারে। ওই দিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুরে সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও খুলনাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ মতে, ঈদের দিন সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। দুপুর থেকে কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বিকেলে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। উত্তরাবঙ্গ ও সিলেটে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। এতে খানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার বাতাসের আর্দ্রতা অস্বাভাবিক রকম বেড়ে গেছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশির ভাগ সময় ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ থাকছে। ফলে বাতাসে তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও গরমের অনুভূতি থাকছে ৩৮ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন-চার দিন, অর্থাৎ ঈদের দিন থেকে শুরু করে তার পরের দুই দিনও একই ধরনের ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি থাকতে পারে। তবে সামনের কয়েক দিনে বজ্রসহ বৃষ্টি বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বাতাসে আর্দ্রতা ব্যাপক বেড়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা ও গরমের কষ্ট- দুটিই বাড়তে পারে। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামে ৭৮ মিলিমিটার। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সতর্কবার্তা হিসেবে দেশের রংপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, সিলেট ও টাঙ্গাইলে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা আছে। ফলে এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...