আল-আকসার ঈদের জামাতে ৪০ হাজার মুসল্লি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ণ

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। যদিও কয়েক হাজার মুসল্লিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আজ সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং অনেক মুসল্লিকে ঈদের নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।

সকাল বেলা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদের আঙিনায় প্রবেশ করে এবং নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে। অনেক যুবককে মসজিদের প্রবেশে বাধা দেয় এবং মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করতে বাধ্য করে।

ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাধা দেওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।

হেব্রন এনডাউমেন্টস বিভাগের প্রধান ঘাসন আল-রাজাবি বলেছেন, ঈদুল আজহায় দখলদারিত্বের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো পবিত্র স্থানগুলোয় বিশেষ করে ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশে বাধা দেওয়া।

আল-রাজাবি আরও বলেন, বাধা সত্ত্বেও ৮ থেকে ১০ হাজার মুসল্লি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।

আনাদোলু সংবাদদাতার মতে, ইব্রাহিমি মসজিদে প্রবেশ করতে এবং সেখানে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সামরিক চেকপয়েন্ট এবং ইলেকট্রনিক গেট পার হয়ে যেতে হয়।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ক্রমাগত নৃশংসতা চালাচ্ছে। এর মধ্যেই এই বছর ঈদুল আজহা চলে আসে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় প্রায় ৩৭ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু এবং প্রায় ৮৫ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...