মতিউরের জায়গায় নতুন দায়িত্বে সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৪, ৮:০১ অপরাহ্ণ

কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে এলেন কাস্টমস কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি এ ট্রাইব্যুনালের সদস্য (টেকনিক্যাল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানকে ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করার পর সেই জায়গায় সুরেশ চন্দ্রকে আনা হলো।

সোমবার (২৪ জুন) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হল।

বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী) ক্যডারের কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র বর্তমান দায়িত্বের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব পালন করবেন। সেজন্য তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ‘কার্যভারভাতা’ পাবেন।

এবারের কোরবানির ঈদে ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকার ‘ছাগল কেনা’ ইস্যুতে তোপের মুখে পড়েন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমান। ইফাতের ছাগল কেনার বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরই তা ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়। এরপর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই এনবিআর থেকে তাকে ওএসডি করা হয়।

ইফাত জানান, তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মো. মতিউর রহমান।

তখন ছাগলসহ ইফাতের ছবি জুড়ে দিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন- ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার অর্থের উৎস কী? একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলের বিপুল ব্যয়ে কোরবানির পশু কেনার সামর্থ্য হল কী করে?

মতিউর রহমান দাবি করেন, ইফাত নামে কেউ তার ছেলে বা আত্মীয় নয়, এমন নামে কাউকে তিনি চেনেন না। তার একটিই ছেলে, তার নাম তৌফিকুর রহমান।

পরে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দাবি করেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। ইফাত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের (স্ত্রীর) ছেলে।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...