সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চীনের দীর্ঘদিনের আগ্রহ থাকলেও অভিন্ন নদী হওয়ায় ভারত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নিজ মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর চীন সফর এই ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করবেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ট্রেন চলাচল এখনও আছে। আমরা আঞ্চলিক যোগাযোগ নিয়ে ভাবছি। ভারত দিয়ে ট্রেন নেপাল ও ভুটানে যাবে। এটা সবার জন্যই ভালো হবে।
তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই। বন্দিবিনিময় ছাড়া তারেক রহমানকে ফেরানো যায় কি না সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী তিস্তা। সীমানার ওপারে বাঁধ নির্মাণ করায় সেই নদীর পানির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ভারতের হাতে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেও, নানা কারণে এর পথ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। বছর দশেক আগে তিস্তা নদীকে ঘিরে উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে চীন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না বা পাওয়ার চায়নার মধ্যে ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। তবে এরপর আর কোনো কাজ এগোয়নি। তবে সম্প্রতি তিস্তা মহাপরিকল্পনায় আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে ভারত। কিছুদিনের মধ্যে দেশটি কারিগরি দল পাঠাবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরে ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে তিস্তা নদী ঘিরে একরকম প্রতিযোগিতা চলছে ভারত ও চীনের মধ্যে। শেষমুহূর্তে কাকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ভার দেবে বাংলাদেশ সেটিই প্রশ্ন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03