বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের এখন উপদেশ দেয়ার সময়: ড. মোমেন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৪, ৮:৫২ অপরাহ্ণ


‘আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক না থাকলে বাংলাদেশের ‘খবর’ ছিল। এই কানেক্টিভিটি আওয়ামী লীগের অর্জন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি) আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধ চায় না মন্তব্য করে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না থাকলে টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখা যাবে না। অনেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে বাস্তবতা হলো ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি আওয়ামী লীগের অর্জন। এ সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সফল এবং গৌরবময় এই ৭৫ বছরের ইতিহাসে ৪৩ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের প্রত্যাশাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছেন। তার জাদুকরি নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে জায়গা করে নিয়েছে আরও আগেই।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ অর্জনের পেছনে যার অবদান, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীন করেনি, এদেশকে একটি শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা যা দরকার, সব করেছেন। স্বাধীনতার অল্প সময়ে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি ও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদও লাভ করেছেন। ৯ মাসের মাথায় শাসনতন্ত্র তৈরি করেছেন। আজকে আমরা খুবই ভাগ্যবান বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ শাসন করছে। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দ্বিতীয়ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। তৃতীয়ত এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে। সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হাতছানি দিচ্ছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের এখন ‘উপদেশ দেওয়ার সময়’ বলে মন্তব্য করে সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বড় প্রকল্পগুলোর উদ্যোগ নিয়েছে এই সরকার, বাস্তবায়নও প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হতে চলেছে। ভাবা যায়, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত এই দেশে আজ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী ট্যানেলসহ অনেক উন্নয়ন প্রকল্প। দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ভবিষ্যৎ কী ধরনের হওয়া উচিত, আমেরিকার বৈদেশিক নীতি কী ধরনের হওয়া উচিত- সেগুলোতে আমরা এখন উপদেশ দেব। আমাদের এখন উপদেশ নেওয়ার সময় না, উপদেশ দেওয়ার সময়। আমেরিকা যদি তাদের ফরেন পলিসি পরিবর্তন করে এবং দুনিয়ার মানুষের কথা চিন্তা করে, তাহলে তারা বিশ্বের নেতা হবে। কাজেই দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। সেই জন্য গবেষণা দরকার।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার প্রমুখ। সভায় মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...