কোটাবিরোধী আন্দোলন : সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ২০১৮ সালের মতোই ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করছে। দিন দিন উপস্থিতি বাড়ছে কর্মসূচিতে। সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলন বন্ধ করতে বারবার বলা হলেও তা গায়ে মাখছেন না শিক্ষার্থীরা। বরং সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে দাবি মেনে নিতে পাল্টা চাপ প্রয়োগ করতে চান আন্দোলনকারীরা। এজন্য আন্দোলন আরও জোরালো করার ইঙ্গিত দিয়েছেন শীর্ষ তিন সমন্বয়ক।

তাদের বক্তব্য সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে কর্মসূচি চালিয়ে যাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে দেশব্যাপী সমন্বয়কদের সঙ্গে পরামর্শসাপেক্ষে শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বকর মজুমদার। তিনি বলেন, আগামীকাল সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলার প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি।

আরেক সমন্বয়ক মো. মাহিন বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে ফুটবলের মতো খেলছে। ফুটবল লাথি দিয়ে একবার সংসদে, একবার হইকোর্টে পাঠাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কারও একার নয়। এখানে সবদলের শিক্ষার্থী রয়েছেন। আমাদের পেটে লাথি মারলে আমরা বসে থাকব না।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আব্দুল কাদের।

দাবি আদায়ে এবং বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আয়োজিত ব্লকেড কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাকা হয়। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, ক্যাম্পাস শ্যাডো, উপাচার্যের বাসভবন চত্বর, রাজু ভাস্কর্য হয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে আসেন। ৫টা ২০ মিনিটে তারা শাহবাগে অবস্থান নেন।

৬টা ১০ মিনিটে শাহবাগে কর্মসূচি ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নিন্দা : এদিকে বৃহস্পতিবার শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা৷

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি ‘সময় টিভি’র সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচারণ করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। গণমাধ্যমকর্মী ও আমাদের মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই পারস্পরিক সুসম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা কিছু অতিউৎসাহী অছাত্র-কুছাত্রদের দ্বারা হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখনোই সমর্থন করে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১১ জুলাইয়ের দুঃখজনক ঘটনাটি আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য এবং নীতির পরিপন্থী। এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে ওই অতিউৎসাহী ব্যক্তিদের ওপর বর্তায়, যারা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...