ঢাকায় নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘এভাবে বাংলাদেশ মিশন শেষ করতে হবে ভাবিনি। আমি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছি। দূতাবাসের সব কর্মী, আমার সহকর্মী, পরিবার, বন্ধু ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিংকডইনে ভেরিফায়েড ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মিশন শেষ করে আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার কথাও জানান হাস।

এই পোস্টের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের একটি ফেসবুক পোস্ট যুক্ত করে দেন হাস। পোস্টটি বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত।
জানা গেছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। কিন্তু বিদায় বেলায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। যদিও সাধারণত কোনো রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ শেষ হলে এমন বিদায়ী সাক্ষাৎ হয়।

দূতাবাসের মুখপাত্র লিওনার্ড হিল বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নির্ধারিত মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। দূতাবাসের উপপ্রধান হেলেন লাফেভ চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব পালন করবেন।’

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গতকাল মঙ্গলবার ভোরে দোহার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এর বেশি কিছু জানা যায়নি।

মার্কিন সরকার ডেভিড মিলিকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। ডেভিড মিলি একসময় বাংলাদেশ দূতাবাসের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যদিও ডেভিড মিলির আনুষ্ঠানিক আনুমোদন এখনো হয়নি। তাই হেলেন লাফেভ পরবর্তী কয়েক মাসের জন্য ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নেতৃত্ব দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্রের ইংগিত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ঢাকায় মার্কিন রাষ্টদূত হিসেবে ২০২২ সালের ১ মার্চ বাংলাদেশে এসেছিলেন পিটার হাস। রবার্ট মিলারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। পিটার হাস একজন পেশাদার কূটনীতিক। এর আগে তিনি ভারতের মুম্বাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লন্ডন, বার্লিন, জাকার্তা ও ওয়াশিংটনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।

 Print This Post