সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা-ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৪, ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে দ্বীপবাসী। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় একজন নিখোঁজ ও ১১ জন উদ্ধার হলেও উদ্ধার তৎপরতা বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এর আগে দুপুর আড়াই টার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা দেয়। এ সময় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ট্রলারটিতে ৬ জন যাত্রী ওঠে। একই সঙ্গে ট্রলারটিতে ছিল ৬ জেলে। ১২ জনের ট্রলারটি দুপুর আড়াই টার দিকে শাহপরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, ঘটনার পর পরই সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, কয়েকটি সার্ভিস বোট যোগে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ রয়েছেন একজন। নিখোঁজ নুর মোহাম্মদ সাগর সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বলে জানান খোরশেদ আলম।

এদিকে, ট্রলার ডুবির পর উদ্ধার তৎপরতার জের ধরে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিনবাসীর উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয়দের মতে- ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলে তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেননি। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে যাওয়ার আগেই বাধা দেন। কিন্তু ১১ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরলে কোস্টগার্ড সদস্য তাদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসীর সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা করে ভাঙচুর করে। এ সময় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে কোস্টগার্ড।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের কারও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসী একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফাঁকাগুলি বর্ষণ করা হয়েছে। দ্বীপের পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...