বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৪, ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

সরকার মূল দাবি মেনে নেয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সমন্বয়করা। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি অফিসে আলোচনা শেষে এক লিখিত ও ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

এ সময় সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে আহ্বান জানান সমন্বয়করা। কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে বিচারের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসকল ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।


তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতিমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।

আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, ‘সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’

এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়। একদিন পর শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকেও ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে আজ (রোববার) আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে নিরাপত্তা হেফজাতে দেয় ডিবি। নুসরাত তাবাসসুম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার চেয়ে ১ জুলাই থেকে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে। পরদিন থেকে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক প্রাণহানির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন ১৪৭ জনের মৃত্যুর কথা। সরকারি হিসাবে ছাত্র যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

সূত্র: সময় টিভি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, আরটিভি

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...