চাঁদাবাজি করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা, অতঃপর যা হলো

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২৪, ১:১৯ অপরাহ্ণ

পুরান ঢাকার লালকুঠি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করার সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে এবং তাকে ছাড়াতে আসা যুবদল পরিচয়দানকারী আরেক ব্যক্তিতে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ দুজনকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয় তারা। এর আগে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় লালকুঠি ঘাটে সদরঘাট এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা ৭ জন ঢাকা কলিজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে চাঁদাবাজরা।

পরে খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সদরঘাটে গিয়ে একজন চাঁদাবাজকে আটক করে ক্যাম্পাসে তুলে নিয়ে আসে। পরে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সাথে তাকে কিছুক্ষণ বেঁধে রাখে শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, সদরঘাট এলাকায় ওই ব্যক্তিসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছিলেন। ওই এলাকায় শরবত বিক্রিওয়ালা এক ব্যক্তি সদরঘাটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করা ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের খবর দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপর হামলা করে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখে চাঁদাবাজরা।

পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আরও শিক্ষার্থীদের জানালে চাঁদাবাজদের একজনকে তুলে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে তারা। পরবর্তীতে চাঁদাবাজকে ছাড়াতে আসে আরেক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে যুবদল নেতা বলে পরিচয় দেয়। পরবর্তীতে তাদের উভয়কে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, ছাড়াতে আসা ব্যক্তির নাম হাসান। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি নিজেকে চাঁদপুর শহরের ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়েছেন। তবে আটক অপর ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থীরা সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করেছিলাম। চাঁদাবাজী করতে দেখলে আমরা প্রতিবাদ করি। পরে আমাদের তারা ঘিরে ধরে। আমাদের গালি দেয়। পরে দ্রুত আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভাইদের চাঁদাবাজির ঘটনাটি বলি। তারা সদরঘাট গিয়ে একজন চাঁদাবাজকে ধরে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সোহান প্রামাণিক বলেন, আমাদের সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তক্রমে কিছু শিক্ষার্থী সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছিল। তাদের আটকে রেখেছিল কিছু চাঁদাবাজ। জানতে পেরে আমরা তাকে উদ্ধার করি। সঙ্গে একজন চাঁদাবাজকে ধরে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসি। চাঁদাবাজকে ছাড়াতে আসে আরেক ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে সে চাঁদাবাজের পরিচিত বলে দাবি করে। পরে আবার অস্বীকার করে। পরবর্তীতে উভয়কে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...