সব
মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন,
শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা ও শেখ হাসিনা সরকারের প্রস্থানকে ঘিরে সমগ্র বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে একটি বিশেষ মহল দেশব্যাপী লোটপাট, অগ্নিসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মান্ধ একটি মহলের উসকানীতে সমগ্র বাংলাদেশে মাইনরিটি সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু জনগোষ্টীকে টার্গেট করে হিন্দুদের মন্দির ভাংচোর, অগ্নি সংযোগ, হিন্দদের সম্মত্তি দখল বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এযাবত সমগ্র বাংলাদেশে দশহাজার হিন্দু ব্যবসা প্রতিষ্টান লোট, ৪০০মন্দিরে অগ্নি সংযোগ ২ হাজারেরও বেশ হিন্দু নারী পুরুষ হামলার শিকার হয়েছেন। এযাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক হিন্দুকে খুন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা বন্ধের দাবীতে ব্রিটেনে বসবাসরত কয়েক হাজার হিন্দু নারী পুরুষ অদ্য ১০ আগষ্ট ২০২৪ লন্ডন সময় দূপুরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে মানববনধন করেছে। সেই সাথে ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিন্দুদের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, বিবিসি ওয়াল্ড সার্ভিস ও বাংলাদেশ হাইকমিশন বরাবরে একটি স্মারক লিটপ প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ও বাংলাদেশের কেয়ারটেকার সরকারের প্রতি আহবান জানোনো হয়। সমাবেশ হিনন্দুরা বলেন বাংলাদেশের কোন সরকারই হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দেশে কোন রাজনৈতিক গোলযোগ সৃষ্টি হলেই হিন্দু বিদ্ধেশী একটি মহল হিন্দুদের উপর হামলা চালায়। এবারও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। ১৯৭৫, ২০০০, ২০১৩-২০১৪, ১০১৮ সালে সমগ্র দেশে হিন্দুরা হামলার শিকার হয়। সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ৮দফা দাবী জানানো হয়।
মানব বন্ধনে সনাতন এসাহিয়েশন ইউকে, বাংলাদেশ হিন্দু এসাসিয়েশন, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ইউনিটি, জগন্নাথ হল এলমনাই এ্যাসোসিয়েশন, পূজা উদযাপন কমিটি , সেইভ মাইনরিটিস ইন বাংলাদেশ, বেঙ্গলী খৃষ্টান এসাসিয়েশন,সহ ২০টিরও বেশী হিন্দু সংগঠন এই মানব বন্ধনের আয়োজন করে । তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে মানববন্ধনে অংশ নেয় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি যুক্তরাজ্য, এবং বিটেনে বসবাসরত শিখ ও ইহুদীদের কয়েকটি সংগঠন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03