সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
নওগাঁর আত্রাইয়ে ফসলী জমির মাঠ থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় পুরোদমে আমন ধানের চাষে নেমেছেন কৃষকরা। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক আমনের আবাদ হয়েছে জানায় কৃষি অফিস। কিছু দিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করে ভরে ওঠবে কৃষকের শূন্য গোলা। সেইসঙ্গে আমনের বাম্পার ফলনের আশা কৃষি অফিস ও স্থানীয় কৃষকের।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবার উপজেলায় ৬ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর হয়েছে। এবার বন্যা আতঙ্কের কারণে আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে শাহাগোলা, মনিয়ারী ও ভোঁপাড়া ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নের উঁচু জমিগুলোতে আমন ধানের চাষ করেন কৃষকরা। এসব এলাকার মাঠগুলোতে চাষকৃত আমন ধানের মধ্যে পাইজাম, জিরাসাইল, ব্রি-২৯সহ উচ্চ ফলনশীল অনেক জাতের হাইব্রিড ধানের চাষও হয়ে থাকে। এর সঙ্গে গত কয়েক বছর থেকে যোগ হয়েছে সু-ঘ্র্যাণের চিনিআতপ। এদিকে মৌসুমের শুরুর দিকে অতি বর্ষণ ও রক্তদহ বিলের পানিতে শাহাগোলা, মনিয়ারী ও ভোঁপাড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন মাঠ পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে হাজার হাজার কৃষকদের মাঝে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। সম্প্রতি এসব মাঠ থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ওই কৃষকদের মাঝে ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তারা পুরোদমে আমন চাষে মাঠে নেমেছেন।
উপজেলার তিলাবদুরী গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, মাঠ থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় তারা পুরোদমে আমন ধানের চাষে নেমেছেন
সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে পরামর্শ দিয়ে আসছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে অল্প খরচে অধিক ফলন যাতে কৃষক পান সেজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03