সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীসহ ৩ জনের শরীরে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দগ্ধ শারমিনের বড় ভাই শামিম বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন দুপুরেই সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর পূর্বে ধামরাইয়ের রাজাপুর গ্রামের হাসান আলীর সাথে সাটুরিয়া উপজেলার গওলা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। এই দম্পতির ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। কয়েক বছর ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে হাসান তার স্ত্রী শারমিনকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় শারিরীক অত্যাচার নির্যাতন করতো। হাসান প্রতিনিয়ত শারমিনকে মারপিট ও মানসিক নির্যাতন করায় শারমিন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হাসানকে ডিভোর্স (বিবাহবিচ্ছেদ) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়ে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাটুরিয়ার গওলা গ্রামে শারমিনের প্রতিবেশি চাচা মো. রফিকুল ইসলামের ঘরের ভিতর শারমিনের শরীরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। শারমিনের চিৎকারে তার চাচাত ভাই রুবেল (২৮) ও চাচী সেলিনা অক্তার (৪৫) এগিয়ে আসলে হাসান তাহাদে ওপরও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে শারমিন, রুবেল ও সেলিনা আক্তারকে রক্ষা করে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল ও কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শারমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রুবেল এবং সেলিনা আক্তারকে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠায়।
সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বলেন, এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ শারমিনের বড় ভাই মো. শামীম বাদী হয়ে থানায় শারমিনের স্বামী মো. হাসানকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03