কাঠের সেতু ভেঙে বিপাকে ধোপাছড়ি ইউনিয়নবাসী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:০৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের পাহাড় ও খাল বেষ্টিত দূর্গম ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ১০০ মিটার দীর্ঘ ও ৭ ফুট প্রস্থের কাঠের সেতুটি গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাঁশের বড় চালির ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে। সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা ওসমান চৌধুরী জানান, স্থানীয় বাঁশ ব্যবসায়ীর প্রায় ৪ হাজার বাঁশের বড় চালি স্রোতে ভাসিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর সময় বাঁশের চালির ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে পড়ে। ইউনিয়নের ১ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও বান্দরবান সংযোগ সড়কে ধোপাছড়ি খালের ওপর ১১ মাস আগে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমে ছিল সেতুটি।

ওই এলাকার শিক্ষার্থী সালমা, জয়নাব, খদিজা জানান, সেতু থাকলে বিনা খরছে সহজে যাতায়াত করা যেত। তবে এখন নৌকায় ভিজে যাওয়ার ঝুকি নিয়ে খরচ করে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয়। শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া স্থানীয়রা আরো পিছিয়ে পড়বে।

স্থানীয় বাসিন্দা দিদারুল আলম, সিরাজুল ইসলাম, আবুশ বশর অনেকটা আক্ষেপের সুরে বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরেও ভৌগোলিক কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অনেক চেষ্টার পর একটি কাঠের সেতু হলেও সেটিও ভেঙে পরেছে। এতে এ যেন মরার ওপর খরার ঘা। আমরা এতটা পিছিয়ে যে ইউনিয়নে মাত্র একটি বাজার, একটি হাসপাতাল তাও সড়ক পথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন। কাদা আর পানির ভিভর নৌকা করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হচ্ছে।

ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড ৬ নাম্বার ওয়ার্ডে রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি, ইউনিয়নের একমাত্র বাজার, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসপাতাল, মসজিদ ও মাদ্রাসা।

ধোপাছড়ি বাজারে ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ব্যবসায়ীদের বিক্রি অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। শিগগির সংস্কার না হলে পণ্যের পরিবহন ব্যয়ও বাড়বে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মজিবুল হক খোকা জানান, বাজারে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। রোগীর ভোগান্তি অকল্পনীয়, সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা বিপাকে। ছাত্র- ছাত্রীরা পিছিয়ে পড়বে।

অরেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বলেন, ইউনিয়নের একমাত্র বাজার ও হাসপাতাল, পুলিশ ফাঁড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হওয়ার দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম জানান, আগের মতো ঘাট ব্যবস্থা চালু করে নৌকার মাধ্যমে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সেতু সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...