সব
সিরেট ব্যুরো অফিস,
সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজের ৭ দিন পর পুকুরে মিলেছে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬) লাশ। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে নিজবাড়ীর পুকুর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। এর সাথে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী ৩ জন নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আওয়াল এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার ভোর ৪ টার দিকে নিজবাড়ির পুকুরে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মুনতাহার লাশ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুনতাহাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
যেভাবে উদ্ধার হয় লাশ : শিশু মুনতাহা নিখোঁজের পর থেকে তাদের প্রতিবেশী আলিফজান (৬৫) এর পরিবারের প্রতি সন্দেহ ছিল। মুনতাহার পরিবারের সন্দেহের কারণে শনিবার আলিফজানকে আটক করে কানাইঘাট থানা পুলিশ এবং তার পরিবারের উপর নজর রাখেন মুনতাহার পরিবার। আলিফজান পুলিশের কাছে অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। কিন্তু শনিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে হঠাৎ আলিফজানের ঘর ও বারান্দার লাইট বন্ধ হলে মুনতাহার পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন পুলিশের হাতে আটক আলিফজানের মেয়ে মর্জিনা নিঁেখাজ শিশু মুনতাহার লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করছে। সাথে সাথে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এই ঘটনায় আলিফজান ও তার মেয়ে মর্জিনাসহ ৩জনকে আটক করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
মুনতাহা (৬) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরেন বাবা। পরবর্তীতে মেয়েটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সাথে খেলা করতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে মেয়েকে খোঁজাখুঁজির পর কোথাও কোনো সন্ধান পাননি তারা। একপর্যায়ে পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
এদিকে শিশু মুনতাহার সন্ধানে কাজ করলেও কোনো ক্লু না থাকায় কিংবা কেউ মুক্তিপণ দাবি না করায় কুলকিনারা করতে পারছিলনা র্যাব ও পুলিশ।
অবশেষে পরিবারের সন্দেহ থেকে প্রতিবেশী আলিফজানকে গ্রেফতারের পর নিখোঁজ শিশু মুনতাহার নিথর দেহের সন্ধান পেল পরিবার।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আওয়াল বলেন, শিশু মুনতাহা অপহরণ ও খুনের ঘটনায় ৩ নারীকে আটক করা হয়েছে। মুনতাহার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03