রোববার জমা হবে অর্থনীতির শ্বেতপত্র

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৫২ অপরাহ্ণ

জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর ইআরএফ মিলনায়তনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও উন্মুক্ত বাজেট জরিপ ২০২৩’ ফলাফল প্রকাশ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, আগামী সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে শ্বেতপত্রের ফল গণমাধ্যমকে জানানো হবে। এর আগে গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার।

প্রসঙ্গত, শ্বেতপত্রের ধারণাটি এসেছে যুক্তরাজ্যের সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে। সরকারের দ্বারা প্রকাশিত কোনো নীতিগত নথি যেখানে সংসদীয় প্রস্তাবনা থাকে, সেগুলোই শ্বেতপত্র, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এভাবেই শ্বেতপত্রের বর্ণনা দেয়া আছে।

এর ফলে, অধিকতর আলাপ-আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়। অর্থনীতি ও বিনিয়োগবিষয়ক জ্ঞানকোষ ইনভেস্টোপিডিয়া থেকে জানা যাচ্ছে, উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনে পার্লামেন্ট রিপোর্টের প্রচ্ছদ থাকতো নীল রঙের। যদি রিপোর্টের বিষয়বস্তু সরকারের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ হতো নীল প্রচ্ছদ বাদ দিয়ে সাদা প্রচ্ছদেই সেগুলো প্রকাশ করা হতো। সেই রিপোর্টগুলোকে বলা হতো হোয়াইট পেপারস্।

তবে আগে ‘বাংলাদেশে এ প্রথার প্রচলন সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী’ দেখা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় জ্ঞান কোষ বাংলাপিডিয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এ প্রথা কোনো প্রস্তাবিত নীতি বা জনস্বার্থ সম্পর্কিত সমস্যার সাথে যুক্ত নয়। বরং কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার পরিচালনার পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল কর্তৃক শাসক দলের কুকীর্তির দলিল হিসাবে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh