সব
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর দোকানে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যবসায়ী জাবেদ আহমদসহ তাঁর দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বড়লেখা পৌরশহরের জাবেদ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।
আহত ব্যবসায়ী জাবেদ আহমদ অভিযোগ করেন, স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইদুল ইসলাম চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় তার নির্দেশে কয়েকজন লোক দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁকে ও তাঁর কর্মচারীদের মারধর করে। এতে তিনজন আহত হন।
জাবেদ আহমদ বলেন, “সকালে দোকান খোলার পর সাইদুল ইসলামের ভাই রবিউল ইসলাম সুহেলের দোকানের কর্মচারীর সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। আমি সেটা মীমাংসা করি। কিছুক্ষণ পর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাইদুল ইসলামের নির্দেশে কয়েকজন দোকানে ঢুকে হামলা চালায়। তারা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। জুবের আহমদ ও বদরুল ইসলাম নামে দুজন আমার মুখে ঘুষি মারে—নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। যাওয়ার সময় তারা বলে, দোকান খুললে মেরে ফেলবে।”
পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আরও বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাইদুল ইসলাম আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে আওয়ামী ঘরানার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে, না দিলে হামলা চালায়। আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। বরং কিছু পুলিশ সদস্য বলেছেন, সাইদুলের সঙ্গে ঝামেলায় না জড়াতে।”
জাবেদ অভিযোগ করেন, “সাইদুল দীর্ঘদিন ধরে আমাদের একটি জমি দখলের চেষ্টা করছে। ব্যর্থ হয়ে এখন ব্যবসা ও সামাজিকভাবে ক্ষতি করতে চায়। এলাকায় ভয়ভীতি দেখিয়ে সে ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।”
এ বিষয়ে সাইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনার বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজ হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।