রাজধানীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় আরবি গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম (৩০)-এর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তার ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ধর্ষকের কোনো প্রকার ছাড় নেই। সকল ধর্ষকের আরও কঠিন সাজা হওয়া উচিত। যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহস না পায়।’

রায় ঘোষণা সময় আসামি জাহিদুলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

দণ্ডিত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুকে বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর মা-বাবা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...