টানা তাপপ্রবাহের পর সিলেট ও রংপুরে বৃষ্টি, ফিরছে স্বস্তি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ

টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে দেশের মানুষ যখন গরমে ছটফট করছে ঠিক সেই মুহূর্তে স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের চার জেলায় ২১ মিলিমিটার এবং রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় ওইসব এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।

সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং দেশজুড়ে বয়ে চলা তাপপ্রবাহও সেই হারে প্রশমিত হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন এ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত এপ্রিল মাস থেকে তাপ বাড়ে, এবার কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। তবে চলমান এ পরিস্থিতি সোমবার থেকে কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। মঙ্গলবার নাগাদ এটা আরো প্রশমিত হয়ে যেতে পারে।

এদিকে সোমবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় এবং রংপুর ঢাকা বরিশাল ও চট্টগ্রামের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরের দিন একই অবস্থা অব্যাহত থাকবে

আগের দিনের তুলনায় রোববার তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের পরিধি ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। সিলেট বিভাগের চার জেলা ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলা ছাড়া রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে তীব্র গরম অনুভূত হয়।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন নেসা বিকাল ৫টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, আগের দিনের তুলনায় রোববার সারাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। সোম ও মঙ্গলবার আরো প্রশমিত হয়ে স্বস্তি ফিরবে।

তিনি জানান, রোববার দুপুরের দিকে রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সারাদেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় খানিকটা কম। আগেরদিন শনিবার চুয়াডাঙ্গায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও ছিল এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে ২৮ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৪১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২৩ এপ্রিল যশোরে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলছেন, টানা কয়েকদিনের সূর্যের তাপ, বাতাসের কম গতিবেগ, দক্ষিণ থেকে আসা জলীয় বাষ্পের কমতি, বৃষ্টি না থাকার কারণে সারা দেশে তাপপ্রবাহের এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে গরমজনিত রোগব্যাধিও বেড়েছে। দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh