সব
মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন,
বার্কিং এন্ড ডাগেনহ্যাম কাউন্সিল এবার বারার ২৫জন স্বেচ্ছাসেবীকে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ আনুষ্টানিক সম্মাননা প্রদান করলো । বারার সিভিক মেয়রের ভাষায় এটি অদৃশ্য নায়কদের দৃশ্যমান স্বীকৃতি।
ব্রিটিশ বাঙ্গালী মেয়র মঈন কাদেরী বলেন অনেকেই হয়তো তাঁদের চেনেন না, কিন্তু তাঁদের প্রভাব ছড়িয়ে আছে সমাজের প্রতিটি স্তরে—কেউ খাদ্য বিতরণে, কেউ তরুণদের জীবন গঠনে, কেউবা সাংস্কৃতি, কেউ ক্রীড়া, কেউ পরিবেশ সংরক্ষণে নিঃস্বার্থ কাজ করছেন। “এই নেতৃস্থানীয় নাগরিকরা আমাদের মূল্যবোধের প্রাণবন্ত প্রতিফলন। তাঁদের কর্মপ্রেরণাই আমাদের সমাজকে দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করে।” এরা সকলেই আলোকবর্তিকা।
সম্মাননা পেয়ে দারুন খুশি কিটন শিকদার। যিনি ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল ইতালী থেকে লন্ডনে লন্ডনে এসে বসবাস শুরু করেন। বরিশালের মুলাদি উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের সন্তান সমাজসেবী কিটন শিকদার ব্রিটেনে এসে মাত্র ছয় বছরের মাথায় এই সম্মাননা অর্জন করে নিজকে গর্বিত মনে করেন। তিনি বলেন রোমে আমার নিজ জেলা ও বিভাগের আঞ্চলিক সমিতি সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলাম, এখানে এসেও নিজকে পরিবেশ এবং কমিউনিটির সেবায় নিয়োজিত করি। আমি মেয়র সহ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
গেল ২৯ এপ্রিল বার্কিং টাউন হলে মেয়র বারার ২৪জন স্বেচ্ছাসেবীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন। মালটিক্যালচারাল সোসাইটির এই স্বেচ্চাসেবীরা হলেন, আবদুল হালিম, অ্যালেক্স দিনিত্রভ, অ্যান-মারিয়া, আনিসুর রহমান, ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান, জন-পল রেনল্ট, জেন গুসট্রি, জুয়েল চৌধুরী, মীরা বড়ুয়া, মোহাম্মদ রহমান, মোহাম্মদ শাকির হোসেন, কিটন এমডি শিকদার, মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম কাজী, পোজ্জা নিকি, রিপন উদ্দিন, সুয়েজ মিয়া, স্মৃতি আজাদ, টনি উইলিয়ামস, শেখ ফারুক আহমদ, সুজন বড়ুয়া, নজরুল হক বিশাল, ওলাকিতান রোটিমি, ট্রেসি কোলম্যান।