সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, পতিত ফ্যাসিস্টদের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ‘মেশিনারির’ চাকা আবার সচল হতে শুরু করেছে। এর পেছনে কিছু সাংবাদিক এবং দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বসুন্ধরা গ্রুপকে ‘ভূমিখেকো, হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ও মিডিয়া মাফিয়া’ হিসেবে আখ্যায়িত করে হাসনাত লেখেন, “আমি আমার বক্তব্যে যা বলার স্পষ্টভাবে বলেছি এবং এখনো বলছি—এই মিডিয়া মাফিয়াকে হুঁশিয়ার করেছি যেন তারা অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে ডিজইনফরমেশন ও ঘৃণার প্রচারণা বন্ধ করে এবং পেশাদার সাংবাদিকতায় ফিরে আসে।”
তিনি বলেন, “আমি কখনোই স্বাধীন গণমাধ্যমের বিরোধী নই বরং একজন সোচ্চার সমর্থক। তবে স্বাধীনতার নামে যদি ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্ল্যাটফর্ম দেয়া হয়, কিংবা নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া অপপ্রচার চালানো হয়, তা মেনে নেয়া যায় না।”
হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী অবস্থানে থাকা কিছু সাংবাদিক বর্তমানে বসুন্ধরার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তার বক্তব্যকে বিকৃত করে ‘গণমাধ্যমের প্রতি হুমকি’ হিসেবে প্রচার করছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যখন গত জুলাই–আগস্টে দেড় হাজারের বেশি ছাত্র–জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কি এই প্রেসক্লাব নেতারা নিন্দা জানিয়েছিলেন?”
জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এনসিপি নেতার বক্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বিবৃতি দিয়েছেন এমন কিছু সাংবাদিক, যারা বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়ায় সদ্য চাকরি পেয়েছেন এবং পূর্বে চব্বিশের অভ্যুত্থানের সমর্থক ছিলেন।”
হাসনাত আরও বলেন, “পত্রিকায় প্রকাশিত বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী অনেকের নাম রয়েছে যারা অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারপন্থী প্রোপাগান্ডা চালিয়েছেন এবং এখন মামলার আসামি হয়ে পলাতক আছেন।”
ফেসবুক পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশের মানুষের জন্য লজ্জাজনক ও দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যারা এক সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন, আজ তারাই মিডিয়া মাফিয়ার পক্ষে দাঁড়িয়ে অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। এতে শুধু মিডিয়া মাফিয়ারা নয়, ফ্যাসিবাদী শক্তির সাংস্কৃতিক ফ্রন্টও নতুন করে শক্তিশালী হচ্ছে।”