সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার।
ইতোমধ্যে চারজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং ২৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও অন্তত ৩৪৬ জন কর্মকর্তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধেও যাচাই–বাছাই শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, অফিস বন্ধ রাখা, কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণসহ রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়ায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যদিও এনবিআরের অনেক কর্মকর্তা বলছেন, আগেই ক্ষমা চাওয়ার পরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা হতাশাজনক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাপকহারে শাস্তি দিলে রাজস্ব বিভাগে অসন্তোষ তৈরি হবে এবং এর প্রভাব পড়বে রাজস্ব আদায়ে।
গত ১২ মে সরকার এনবিআর পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ গঠনের অধ্যাদেশ জারি করে। এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন। এরপর বদলি আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন স্থগিত হলেও এনবিআরের তিন সদস্য, এক কমিশনার, এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারসহ অন্তত ২১ জনকে বরখাস্ত করা হয়। এনবিআর চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটূক্তি করায় আরও এক কর্মচারীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতোমধ্যে ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা সংস্কারের পক্ষেই ছিলাম, কিন্তু যাঁরা আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরাই এখন আমাদের শত্রু বানিয়ে শাস্তি দিচ্ছেন।”
জনপ্রশাসন বিশ্লেষক ফিরোজ মিয়া বলেন, “গণহারে শাস্তি দিলে কাজের মান কমে যায়, রাজস্ব আদায়েও বিরূপ প্রভাব পড়ে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “এটি সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়, বিস্তারিত জানার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।”
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক